Advertisement
Advertisement

Breaking News

Anandapur

আনন্দপুর কাণ্ডে চার্জশিট পেশ, ধৃতের পাশাপাশি নিগৃহীতার বিরুদ্ধেও মামলা করতে চায় পুলিশ

ভুল তথ্য প্রদান ও আসামিকে আশ্রয় দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ নিগৃহীতার বিরুদ্ধে।

Police submits 150 pages chargesheet on Anandapur case| Sangbad Pratidin
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:October 9, 2020 7:35 pm
  • Updated:October 9, 2020 7:37 pm  

শুভঙ্কর বসু: আনন্দপুরে (Anandpur) চলন্ত গাড়িতে তরুণীকে হেনস্তা, তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে মহিলার জখম হওয়ার ঘটনার এক মাসেরও বেশি সময় পর চার্জশিট পেশ করল পুলিশ। ঘটনায় ধৃত অভিষেক পাণ্ডের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা-সহ ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে চার্জশিট (Chargesheet) দিয়েছে পুলিশ। পাশাপাশি নিগৃহীতা তরুণীর বিরুদ্ধেও মামলা শুরু করতে চেয়ে পুলিশের তরফে আরজি জানানো হয়েছে আলিপুর আদালতে। ঘটনার ৩৪ দিনের মাথায় তদন্ত শেষ করে ১৫০ পাতার চার্জশিট পেশ করা হল আলিপুর আদালতে।

সেপ্টেম্বরের ওই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত অভিষেক পাণ্ডের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৭ ধারায় খুনের চেষ্টা, ৩৫৪ ধারায় শ্লীলতাহানি-সহ ৩২৩, ৩২৫, ৩৩৬, ৩৩৮ ও ২৮৯ ধারা যুক্ত করে চার্জশিট পেশ করা হয়েছে পুলিশের তরফে। এছাড়াও ওই তরুণীর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ২০১ ও ২১২ ধারায় ভুল তথ্য প্রদান ও আসামিকে আশ্রয় দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগে মামলা শুরু করতে চেয়ে বিচারকের কাছে আবেদন জানিয়েছে পুলিশ। দিন কয়েক আগেই এই ঘটনায় স্ট্রেচারে শুয়ে আলিপুর আদালতে গোপন জবানবন্দি দেন প্রতিবাদী নীলাঞ্জনা চট্টোপাধ্যায়। তারপরপরই এই ঘটনায় চার্জশিট জমা দিল পুলিশ।

Advertisement

[আরও পড়ুন: কঠিন লক্ষ্যপূরণ ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো প্রকল্পের, শেষ হল শিয়ালদহ পর্যন্ত সুড়ঙ্গ খোঁড়ার কাজ]

গত ৫ সেপ্টেম্বর রাতে নিজের জীবন বাজি রেখে এক তরুণীর শ্লীলতাহানি রুখে অসীম সাহসিকতার পরিচয় দেন নীলাঞ্জনা ও তাঁর স্বামী দীপ শতপথী। ওইদিন রাত সাড়ে বারোটা নাগাদ একটি নিমন্ত্রণ রক্ষা করে ইএম বাইপাস লাগোয়া আনন্দপুর থেকে ফেরার তোড়জোড় করছিলেন নীলাঞ্জনারা। হঠাৎই একটি গাড়ি থেকে ‘বাঁচাও, বাঁচাও’ চিৎকার শুনে নীলাঞ্জনা ও দীপ নিজেদের গাড়ি থামান। তাঁরা দেখেন, পিছনের একটি গাড়ি থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়া হচ্ছে এক তরুণীকে। নীলাঞ্জনা ওই তরুণীকে বাঁচাতে গেলে গাড়িটি তাঁর পা পিষে দিয়ে বেরিয়ে যায়। তাঁর পায়ের হাড় ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে যায়। ঘটনায় নীলাঞ্জনার সাহসিকতাকে কুর্নিশ জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে কলকাতা পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা।

[আরও পড়ুন: নবান্ন অভিযানে ‘পুলিশি জুলুম’, সংসদে স্বাধিকার ভঙ্গের অভিযোগ জানাবে বিজেপি]

যদিও নীলাঞ্জনা দেবী তরুণীকে বাঁচানোর চেষ্টা করলেও, তিনি কিন্তু অভিযুক্ত অভিষেকের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার করে নেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন। ‘পারিবারিক বিবাদ’ বলে উল্লেখ করে এই মামলা প্রত্যাহার করে নিতে চান তিনি। সে কারণে এবার তার বিরুদ্ধেও মামলা শুরু করতে চাইছে পুলিশ।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement