প্রতীকী ছবি।
অর্ণব আইচ: শহরের বুকে নাবালিকার বিয়ে। একটি এনজিও-র সাহায্যে বিয়ের আসরে হানা দিয়ে নাবালিকাকে উদ্ধার করল পুলিশ। দক্ষিণ কলকাতার কসবায় ঘটল এই ঘটনা। নাবালিকার বাবা ও এক আত্মীয়কে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
[অ্যাম্বুল্যান্স নেই, দুর্ঘটনাগ্রস্তকে নিয়ে পুলিশের গ্রিন করিডর ধরে ছুটল অ্যাপ ক্যাবই]
পুলিশ জানিয়েছে, ওই নাবালিকার পরিবার দরিদ্র। বারুইপুরের বাসিন্দা নাবালিকার বাবা দিনমজুরের কাজ করেন। তাই তিনি নিজেই চেয়েছিলেন তাঁর ১৫ বছরের কিশোরী মেয়ের বিয়ে দিয়ে দিতে। আপত্তি করেছিল ওই কিশোরী। বাবাকে বলেছিল, তার বিয়ের বয়স হয়নি। সে বিয়ে করবে না। কিন্তু তার কোনও যুক্তি টেকেনি। বরং বাবার যুক্তি ছিল যে, তারা দরিদ্র। তাই কিশোরী হওয়া সত্ত্বেও তার তাড়াতাড়ি বিয়ে দেওয়া প্রয়োজন। পাত্রের খোঁজ করছিলেন নাবালিকার বাবা বাপি দাস। বাড়ির কাছেই পাত্রের সন্ধান পান। পাত্রের নাম বিপ্লব মণ্ডল। তার বয়স ২১ বছর। কিন্তু বাড়িতে নাবালিকার বিয়ে দিতে গেলে সমস্যা হতে পারে। তাই এলাকার কাউকে না জানিয়ে বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার নাম করে কলকাতায় নিয়ে আসেন মেয়েকে।
[দেশে হিংসা ছড়ানোর সিন্ডিকেট চালাচ্ছে বিজেপি, পালটা তোপ তৃণমূলের]
দক্ষিণ কলকাতার কসবার এন সি রোডে আত্মীয় কুমার দাসের বাড়িতে চলছিল বিয়ের তোড়জোর। ওই এলাকারই বাসিন্দা হিমাংশু ঘোষাল প্রত্যক্ষভাবে নাবালিকার বিয়ের আয়োজন করেন। গায়ে হলুদ হয়ে গিয়েছিল। আত্মীয়দেরও নিমন্ত্রণ করা হয়েছিল। বিয়ের আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা বাকি। আত্মীয়রাও আসতে শুরু করেছেন। সবে সাবালক হওয়া বরকে নিয়ে বরযাত্রীও রওনা দিয়ে দিয়েছে বারুইপুর থেকে। পাড়ায় যে এক নাবালিকা কিশোরীর বিয়ে হচ্ছে, সেই খবর জেনেছিলেন পাড়ার কয়েকজন বাসিন্দা। তাঁরা নিশ্চিত হওয়ার পর এলাকার একটি এনজিওকে খবর দেন। এনজিও-র পক্ষ থেকে বিষয়টি জানানো হয় কসবা থানার পুলিশকে। পুলিশের একটি টিম পৌঁছায় বিয়ের আসরে। সেখান থেকেই নাবালিকাকে উদ্ধার করে পুলিশ ও এনজিও। বাবা বাপি দাস ও বিয়ের আয়োজক হিমাংশু ঘোষালকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। আত্মীয় কুমার দাস, পাত্র বিপ্লব ও পাত্রের বাবা বিজয় মণ্ডলের বিরুদ্ধেও অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তাঁদেরও সন্ধান চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.