Advertisement
Advertisement
Medical Council

মেডিক্যাল কাউন্সিলের সামনে ধরনা তোলার নির্দেশ, পুলিশ-চিকিৎসক বচসা, খোলা হল ত্রিপল!

ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন চিকিৎসক সংগঠনের নেতারা।

Police Order to withdraw dharna at Medical Council
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:December 3, 2024 1:03 pm
  • Updated:December 3, 2024 4:38 pm  

রমেন দাস: অভীক দে ও বিরূপাক্ষ বিশ্বাসকে মেডিক্যাল কাউন্সিলে ফেরানোর অভিযোগকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা। সোমবার রাত থেকে মেডিক্যাল কাউন্সিলের সামনে ধরনায় ডাক্তারদের সংগঠন। অবস্থান তুলতে মঙ্গলবার সাতসকালে ঘটনাস্থলে পুলিশ। সেখানেই উর্দিধারীদের সঙ্গে রীতিমতো বচসায় জড়িয়ে পড়েন আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা। জোর করে ত্রিপল খুলে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। সব মিলিয়ে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন চিকিৎসক সংগঠনের নেতারা।

আর জি কর কাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে শিরোনামে উঠে এসেছিল চিকিৎসক অভীক দে ও বিরূপাক্ষ বিশ্বাসের নাম। শাস্তির মুখেও পড়েছিলেন। তাঁদের মেডিক্যাল কাউন্সিল থেকে বহিষ্কারও করা হয়। কয়েক মাসের ব্যবধানে সোমবার মেডিক্যাল কাউন্সিলের বৈঠকে দেখা যায় সেই অভীক-বিরুপাক্ষকে। তবে কি গোপনেই মেডিক্যাল কাউন্সিলে ফেরানো হয়েছে তাঁদের? নাকি সরানোই হয়নি! প্রশ্ন তুলে মেডিক্যাল কাউন্সিলের সামনে অবস্থানে বসে পাঁচটি চিকিৎসক সংগঠনের যৌথ মঞ্চ। রাতভর চলে অবস্থান। তাঁদের দাবি, পুরোপুরি সরাতে হবে অভীক ও বিরুপাক্ষকে।

Advertisement

মঙ্গলবার সকালে অবস্থান মঞ্চে হাজির হয় পুলিশ বাহিনী। অবস্থান তুলে নিতে বলে ত্রিপল খুলতে শুরু করেন আধিকারিকরা। এতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন আন্দোলনকারীরা। পুলিশের সঙ্গে রীতিমতো বচসায় জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। চিকিৎসক সংগঠনের নেতা বিপ্লব চন্দ্র জানান, জোর পূর্বক পুলিশ ত্রিপল খুলে দেয়। তবে দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলে সাফ জানিয়েছেন তিনি।

উল্লেখ্য, আর জি করে চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে উঠে আসে অভীক দে’র নাম। এর পর তাঁর বিরুদ্ধে ৩২ দফা অভিযোগ প্রকাশ্যে আসে। এর মধ্যে যেমন ছিল দুবছর ধরে নিয়মিত ক্লাস না করা, হাজিরা না দেওয়া, রিপোর্ট জমা না দেওয়া, বায়োমেট্রিক কাজ না করা, রোগী না দেখা, ‘থ্রেট কালচার’, মর্গে দুর্নীতি। অভয়া কাণ্ডের তদন্তে নেমে সিসিটিভি ফুটেজে ঘটনাস্থলেও অভীককে দেখতে পান তদন্তকারীরা। পরবর্তীতে শাস্তির মুখে পড়তে হয় অভীককে। সরানো হয় মেডিক্য়াল কাউন্সিল থেকে। এদিকে আর জি কর কাণ্ডের জেরেই সিবিআইয়ের স্ক্যানারে আসে বিরূপাক্ষ বিশ্বাস। পরবর্তীতে তাঁকে সাসপেন্ড করে স্বাস্থ্যদপ্তর, রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল। 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement