অর্ণব আইচ: গার্ডেনরিচ, প্রগতি ময়দান পর ফের রাজ্যের উর্দিধারীদের শরীরে করোনার থাবা। এবার আক্রান্ত হলেন বউবাজার থানার এক শীর্ষ আধিকারিক। তিনি বর্তমানে কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি। তাঁর সংস্পর্শে আসা ওই থানার গাড়ির চালক, নিরাপত্তারক্ষী এবং সিভিক ভলান্টিয়ারকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে।
করোনা ভয়াবহ আকার নেওয়ার আগে থেকেই মারণ ভাইরাসকে রোখার প্রস্তুতি নিয়েছিল রাজ্য সরকার। শুরু হয়েছিল লকডাউন। সেই সময় থেকে একেবারে প্রথম সারিতে দাঁড়িয়ে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করছিলেন পুলিশরা। সেই তালিকাতেই ছিলেন বউবাজার থানার এই শীর্ষ আধিকারিক। কখনও দুস্থদের হাতে পৌঁছে দিয়েছেন খাবার তো আবার কখনও রাস্তায় নেমে লকডাউন সম্পর্কে বুঝিয়েছেন সাধারণ মানুষকে। করোনা আবহে বেড়েছিল কাজের চাপও। কর্মব্যস্ততায় প্রায় দিন কুড়ি বাড়িও ফিরতে পারেননি তিনি।
দিনকয়েক ধরে জ্বর আসছিল তাঁর। সন্দেহ হওয়ায় তাঁর Covid 19 পরীক্ষা করা হয়। মঙ্গলবার পরীক্ষার রিপোর্ট হাতে আসে। জানা যায়, বউবাজারের ওই শীর্ষ আধিকারিক করোনা আক্রান্ত। এরপরই তাঁকে শহরের এক বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করা হয়। আপাতত সেখানেই চিকিৎসা চলছে তাঁর। লালবাজারের এক কর্তা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে নিয়েছেন। এদিকে, ওই পুলিশ আধিকারিকের সংস্পর্শে আসা গাড়ি চালক, নিরাপত্তারক্ষী এবং সিভিক ভলান্টিয়ারকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। শুরু হয়েছে থানা জীবাণুমুক্ত করার কাজও।
এর আগে গত ২৭ এপ্রিল প্রগতি ময়দান থানার পুলিশ আধিকারিকের শরীরে উপসর্গ দেখা দেয়। কিন্তু মৃদু উপসর্গ হওয়ায় তিনি হোম কোয়ারেন্টাইনেই ছিলেন। কিন্তু কয়েকদিন পরেও তাঁর জ্বর-সর্দি না সারায় তিনি করোনা পরীক্ষা করান। তাতেই ধরা পড়ে করোনা। ততদিনে তাঁর স্ত্রীর শরীরেও উপসর্গ দেখা দিয়েছে। ফলে দু’জনকেই বাইপাসের ধারে কোভিড হাসপাতালে ভরতি করা হয়। এছাড়াও কলকাতা বন্দর এলাকার একটি থানার পুলিশ আধিকারিক আক্রান্ত হয়েছিলেন করোনায়। তিনি এখন সুস্থ হয়ে বাড়িতে। জোড়াবাগান থানার এক সাব ইনস্পেক্টরও আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন। এর আগে কলকাতা উত্তর ডিভিশনের এক পুলিশ কর্মীও আক্রান্ত হয়েছিলেন। তিনি বর্তমানে রোগমুক্ত।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.