ফাইল ছবি
অর্ণব আইচ: কলকাতায় টার্গেট হয়েছিলেন খোদ কাউন্সিলর। তাঁকে উপর হামলার চেষ্টা করেছিল দুষ্কৃতীরা। সেই তদন্ত চলাকালীন উঠে আসে একটি বিশেষ এলাকার নাম-গুলশন কলোনি। এবার বহিরাগত দুষ্কৃতীদের ধরতে ফের কলকাতা পুলিশের স্ক্যানারে সেই এলাকা। প্রয়োজনে ওই এলাকার ঘরে-ঘরে তল্লাশি চালানোর পরামর্শ দিলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা।
শনিবার কলকাতার সব থানার ওসি-দের নিয়ে রুটিন বৈঠকে বসেছিলেন পুলিশ কমিশনার। সেখানেই উঠে আসে গুলশন এলাকার কথা। অভিযোগ, আনন্দপুর থানার অন্তর্গত কসবা এলাকার গুলশন কলোনি দিনে দিনে সমাজবিরোধীদের আখড়া হয়ে উঠছে। বিহার থেকে আসা বহু দুষ্কৃতীরা গুলশন কলোনির ঘরে ঘরে আশ্রয় নিচ্ছে। ফ্ল্যাট ভাড়া নিচ্ছে। শহরের বুকে অপরাধ ঘটাচ্ছে। এবার তাদের ধরতে বাড়ি-বাড়ি তল্লাশির পরামর্শ দিলেন মনোজ ভার্মা। জানালেন, ওই এলাকায় কোনও বহিরাগত থাকছে কি না তা খতিয়ে দেখতে হবে। বাইরে থেকে কেউ এলে তাঁর নথি খতিয়ে দেখতে হবে। পাশাপাশি শহরে অপরাধ কমাতে সীমানা এলাকায় লাগাতার নাকা চেকিং চালানোর পরামর্শও দেন পুলিশ কমিশনার।
কলকাতা পুরসভার ১০৮ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত কুখ্যাত এই গুলশন কলোনি। যেখানে খুনখারাপি, বোমাবাজি লেগেই থাকে। এবার তো এলাকার কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষকে খুনের চেষ্টা করা হয় নিজের ওয়ার্ডেই। অভিযোগ, এই এলাকায় জমি মাফিয়াদের দাপট। পুকুর বুজিয়ে একের পর এক বেআইনি ইমারত তৈরি হচ্ছে। বানানো হচ্ছে ঘুপচি ঘর থেকে গোডাউন। আর সেখানেই আশ্রয় নিচ্ছে বিহারের দুষ্কৃতীরা। প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের শুরুর দিকে এই গুলশন কলোনি থেকেই ২২ জন বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করেছিল উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। পুলিশের নজর এড়িয়ে ধৃতরা নানা বেআইনি কাজ চালাত। এবার সেখানেই বিহারের দুষ্কৃতীরা আশ্রয় নিচ্ছে বলে সূত্রের দাবি। ফলে সেখানে তল্লাশি চালানোর পরামর্শ দিলেন খোদ পুলিশ কমিশনার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.