Advertisement
Advertisement
জাদুকর

ম্যানড্রেকের সংস্থার বিরুদ্ধে মামলা পুলিশের, জেরার মুখে জাদু সঙ্গীরা

ঝুঁকি নিয়ে কেন তাঁকে নামানো হল জলে? প্রশ্ন পুলিশের।

Police files case against organization of dead Kolkata magician
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:June 19, 2019 11:22 am
  • Updated:June 19, 2019 11:22 am  

স্টাফ রিপোর্টার: ম্যাজিক দেখাতে গিয়ে গঙ্গায় ডুবে জাদুকর ম্যানড্রেকের মৃত্যুর জের। ‘ম্যাজিক বেল্ট ইন্ডিয়া’র বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিতভাবে অভিযোগ দায়ের করল পুলিশ। এই ‘ম্যাজিক বেল্ট ইন্ডিয়া’ সংস্থারই কর্ণধার ছিলেন চঞ্চল লাহিড়ী, যিনি জাদুকর ‘ম্যানড্রেক’ নামে পরিচিত। পুলিশের সূত্র জানিয়েছে, ওই সংস্থার বিরুদ্ধেই ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৪ এ ও ৩৪ ধারায় অনিচ্ছাকৃত খুন ও ষড়যন্ত্রের মামলা দায়ের করা হয়েছে।

      [আরও পড়ুন: সার্ভিস রিভলভার থেকে গুলি, সহকর্মীদের সামনেই আত্মঘাতী কনস্টেবল]

Advertisement

এক পুলিশকর্তা জানান, জাদুকরের মৃত্যুতে বেশ কিছু গাফিলতি দেখা দিয়েছে, যার জন্য এই মামলা। এখনও পর্যন্ত জাদুকরের কয়েকজন সঙ্গীকে জেরা করা হয়েছে। তবে জাদুকরের স্ত্রী, ভাইপো ও এক সহকারীর উপর নজর রয়েছে পুলিশের। গত রবিবার গঙ্গায় ম্যাজিকের দেখানোর সময় তাঁদের কার কী ভূমিকা ছিল, তা নিয়ে তদন্ত শুরু হচ্ছে। এই ‘ম্যাজিক বেল্ট ইন্ডিয়া’ সংস্থাটির অফিসের ঠিকানা দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরে চণ্ডীতলা পার্ক।

গত ২৭ মে চঞ্চল লাহিড়ী ‘ম্যাজিক বেল্ট ইন্ডিয়া’র লেটার প্যাডে অনুমতি চেয়ে একটি চিঠি লেখেন। তাতে বলা ছিল “হাওড়া ব্রিজ (রবীন্দ্র সেতু) সংলগ্ন, গঙ্গাবক্ষে একটি লঞ্চের উপর জাদু প্রদর্শনী করা হবে।” এ-ও বলা হয় যে, তিনি লুপ্তপ্রায় ম্যাজিক শিল্পটিকে বাঁচানোর জন্য এই উদ্যোগ। সেই কারণে ১৬ জুন দুপুর দেড়টার সময় গঙ্গাবক্ষে লঞ্চের উপর একটি জাদুপ্রদর্শনীর আয়োজন করা হবে। বিশেষভাবে পুলিশকে জানানো হয় যে, আগেও একই অনুষ্ঠান এই জায়গায় তাঁরা সফলভাবে অনুষ্ঠিত করেছিলেন। আগের অনুমতিপত্রের কপিও পুলিশকে দেখান তাঁরা।

[আরও পড়ুন: মনুয়াকাণ্ডের ছায়া বাগুইআটিতে, প্রেমিকের সাহায্যে স্বামীকে খুন করল মহিলা]

প্রাথমিকভাবে পুলিশের অভিযোগ, ওই চিঠির সঙ্গে বাস্তব ম্যাজিক শোয়ের অনেক পার্থক্য ছিল। যেহেতু চঞ্চলবাবু নিজেই আবেদনকারী, তাই ওই ম্যাজিক সংস্থার অন্যান্য সদস্যদের জেরা করা হবে এবং তাঁদের বিরুদ্ধেই পুলিশ আইনি ব্যবস্থা নেবে, জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। অভিযোগ, পুলিশের অনুমতিপত্রে লেখা ছিল না যে, তিনি জলে নেমে জাদু দেখাবেন। পুলিশের দাবি, দড়ি, চেন ও বেল্ট দিয়ে বেঁধে যেভাবে তাঁকে জলে নামানো হয়, তার সঙ্গে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া উচিৎ ছিল। কিন্তু ডুবুরি বা অন্য কোনও নিরাপত্তা ব্যবস্থা লঞ্চে ছিল না, যা থেকে স্পষ্ট বোঝাই যায় যে গাফিলতি ছিলই। দেহ উদ্ধারের পর জানা গিয়েছিল যে, জাদুকরকে গঙ্গায় নামানোর কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই তিনি চেন, হাত ও পায়ের মূল বাঁধন খুলে ফেলেন। যদিও বাঁ পায়ে দড়ি ও ডান পায়ে বেল্ট বাঁধা ছিল। গঙ্গায় ভেসে যাওয়ার সময় কেন সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে বাঁচানোর চেষ্টা হয়নি, জাদুকরের সঙ্গীদের জেরার সময় সেই প্রশ্ন করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এই ঘটনার জেরে ইতিমধ্যেই বদল করা হয়েছে জল পুলিশের ওসিকে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement