অর্ণব আইচ ও অরিজিৎ গুপ্ত: মঙ্গলবার বিজেপির বহু প্রতীক্ষীত নবান্ন অভিযান (Nabanna Abhijan)। গেরুয়া শিবিরে মিছিল ঘিরে শহরে কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি যাতে না হয় তার জন্য আগাম সতর্কতা অবলম্বন করছে পুলিশ। উত্তর ও মধ্য কলকাতার একাংশ অ্যালুমিনিয়াম ব্যারিকেড (Barricade), বাঁশের সিজার ব্যারিকেড ও গার্ডরেল দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হবে। কলেজ স্ট্রিটে ১৪৪ ধারা জারি হয়েছে। তা ভেঙে গেরুয়া শিবিরের কর্মী, সমর্থকরা মিছিল করলে মামলা দায়ের করবে পুলিশ। কলকাতায় রিজার্ভ ফোর্স ছাড়া পুলিশের হাতে আগ্নেয়াস্ত্রর বদলে থাকবে লাঠি। প্রসঙ্গত, এই অভিযানের অনুমতি দেয়নি পুলিশ। আর বিজেপি সেই পুলিশকে চ্যালেঞ্জ করেই নবান্ন অভিযান (BJP Nabanna Abhijan) সফল করতে মরিয়া।
নবান্ন অভিযানের দিন শহরজুড়ে থাকবে পুলিশের ব্যারিকেড। তার জন্য নির্দিষ্ট পরিকল্পনা করা হয়েছে। জানা গিয়েছে –
কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) যুগ্ম পুলিশ কমিশনার শুভঙ্কর সিংহ সরকার জানান, কলকাতায় কোনও অশান্ত এড়াতে পর্যাপ্ত পুলিশি ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। শহরের যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে ব্যবস্থা নিচ্ছে ট্রাফিক পুলিশ।
কলকাতায় ১২টি জায়গায় ব্যারিকেড, এলাকা ভাগ করা হয়েছে সেক্টরে, নিরাপত্তায় দু’হাজার অতিরিক্ত পুলিশ, বিশেষ পুলিশ কমিশনার, দুই অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ও যুগ্ম পুলিশ কমিশনারদের অধীনে বিভিন্ন পয়েন্টে থাকবেন ১৮ জন ডিসি, ৩২ জন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার, ৬২ জন ইন্সপেক্টর ও ১২৪ জন সার্জেন্ট। থাকছে পাঁচটি জলকামান ও গ্যাস ছোঁড়ার জন্য দু’টি ‘বজ্র’। থাকবে ড্রোনের (Drone) নজরদারি।
হাওড়ায় (Howrah) প্রায় আড়াই হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হচ্ছে। জি টি রোড, ফরশোর রোড, হাওড়া শরৎ সদনের সামনে মহাত্মা গান্ধি রোড ও সাঁতরাগাছির মতো মূল পয়েন্ট ও হাওড়া স্টেশন, নবান্নর সামনে শিবপুর মন্দিরতলা, আন্দুল রোড ও কোনা এক্সপ্রেসওয়ের ৩০টি জায়গায় থাকবে পুলিশের ব্যারিকেড। সেখানে থাকবেন রাজ্য পুলিশের পদস্থ কর্তারা। মোতায়েন থাকবে পুলিশ। নজরদারি রাখবে ড্রোন। থাকবে একাধিক জলকামান ও দমকলের গাড়ি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.