রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: সুদুর কালিফোর্নিয়া থেকে ছেলের ফোন পুলিশকে। হাওড়ার শিবপুরের বাড়িতে রয়েছেন অসুস্থ বৃদ্ধ বাবা-মা। লকডাউনে দোকানপাট বন্ধ। বাড়িতে নেই কোনও খাদ্যসামগ্রী। তাই হাওড়া সিটি পুলিশের ফেস বুক পেজ থেকে নম্বর পেয়ে বাবা-মাকে সাহায্যের জন্য অনুরোধ করেছিল ছেলে অঞ্জন দাস। সেই ফোন পেয়েই খাদ্যসামগ্রী নিয়ে বৃদ্ধ-বৃদ্ধার কাছে তৎক্ষণাৎ পৌঁছে গিয়েছিল হাওড়া সিটি পুলিশের শিবপুর সাব ট্রাফিক গার্ডের আধিকারিকরা।
হাওড়ার শিবপুরের বাসিন্দা ৮৭ বছরের রাম দাস ও ৮৩ বছরের শান্তি দাস। তাঁদের একমাত্র ছেলে অঞ্জন দাস কালিফোর্নিয়ায় থাকেন। হাওড়া ও কলকাতায় তাঁদের আর কোনও আত্মীয়-স্বজন নেই। গত রবিবার অঞ্জনবাবু হাওড়া সিটি পুলিশকে ফোন করে বাবা-মায়ের অসহায়তার কথা জানান। পুলিশের সহযোগিতায় খাদ্যসামগ্রী হাতে পেয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন অসহায় রাম দাস ও শান্তি দাস। গত সেপ্টেম্বরে রামবাবু হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন। শরীরে বসানো রয়েছে পেসমেকার। আরও নানান অসুস্থতা রয়েছে শরীরে। অঞ্জনবাবুর মা শান্তিদেবীও হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন। তাছাড়া শিরদাঁড়া ভেঙে যাওয়ায় অস্ত্রোপচারও হয়েছে তাঁর। একাকী অসুস্থ এই দুই বৃদ্ধ-বৃদ্ধার পাশে যেভাবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে হাওড়া সিটি পুলিশ কালিফোর্নিয়া থেকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন বৃদ্ধ-বৃদ্ধার ছেলে।
একইভাবে লিলুয়ার ভট্টনগরের বাসিন্দা ৬০ বছর বয়সি অসুস্থ দুলাল সরকারকে অ্যাম্বুল্যান্স পাঠিয়ে হাসপাতালে ভরতির ব্যবস্থা করেছে সিটি পুলিশ। আবার এক ক্যানসার রোগী বাকসাড়ার বাসিন্দা জয়ী দত্তকেও অ্যাম্বুল্যান্স পাঠিয়ে নিউটাউনের ক্যান্সার হাসপাতালে ভরতির ব্যবস্থা করেছেন হাওড়া সিটি পুলিশের আধিকারিকরা। হাওড়া সিটি পুলিশের এসিপি (ট্রাফিক) অশোকনাথ চট্টোপাধ্যায় জানালেন, লকডাউন পরিস্থিতিতে প্রতিনিয়তই সাধারণ মানুষের পাশে আছেন সিটি পুলিশের কর্মীরা। খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া থেকে শুরু করে চিকিৎসার ব্যবস্থা সবই করছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.