রাহুল রায়: চাকরিপ্রার্থীর হাতে কলকাতা পুলিশের লেডি কনস্টেবলের কামড় বিতর্কের জল গড়াল কলকাতা হাই কোর্টেও। লেডি কনস্টেবল ইভা থাপার বিরুদ্ধে হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের। জখম চাকরিপ্রার্থীকে আর্থিক সাহায্য প্রদানের দাবি জানিয়েছেন মামলাকারী।
আদালতের পর্যবক্ষণ অনুযায়ী জখম চাকরিপ্রার্থী অরুণিমা পালকে আর্থিক সাহায্য দেওয়া প্রয়োজন। এছাড়া আগামী দিনে এমন কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে পুলিশকে। বেআইনি জমায়েত সরানোর সময় পুলিশের ঠিক কী ভূমিকা হওয়া উচিত, তা নির্দিষ্ট করতে হবে। রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের ভূমিকা কী, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে।
গত ৯ নভেম্বর ক্যামাক স্ট্রিটে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসের সামনে চাকরির দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন টেট উত্তীর্ণরা। বিক্ষোভ হঠাতে গেলে চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে পুলিশের হাতাহাতি শুরু হয়। টেনে হিঁচড়ে বিক্ষোভকারীদের প্রিজন ভ্যানে তোলার চেষ্টা করা হয়। প্রিজন ভ্যানের চাকার সামনে শুয়ে পড়েন বিক্ষোভকারীরা। অশান্তির মাঝে বিক্ষোভকারী অরুণিমা পালের দিকে ছুটে আসেন ইভা থাপা নামে এক পুলিশকর্মী। হাতে কামড় বসান ওই মহিলা পুলিশকর্মী। যদিও পুলিশের তরফে পালটা অরুণিমার বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ তোলা হয়েছে। আক্রান্ত-সহ ৩০ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করা হয়।
ঘটনার দিন ইভা থাপা নামে ওই পুলিশকর্মীকে এসএসকেএম হাসপাতালে ভরতি করা হয়। কেন আক্রান্তকে গ্রেপ্তার এবং আক্রমণকারীকে হাসপাতালে ভরতি করা হল, তা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তোলেন বিরোধীরা। পুলিশের তরফে দাবি করা হয়েছিল, বিক্ষোভকারী অরুণিমা পালই নাকি আগে কামড় দিয়েছিলেন পুলিশকে। সেই ফুটেজও নাকি রয়েছে। যদিও বিক্ষোভকারী অরুণিমা পালের মেডিক্যাল রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে ‘হিউম্যান বাইটে’র কথা। তা সত্ত্বেও পুলিশকর্মী ইভা থাপার হয়ে সওয়াল করেন রাজনৈতিক মহলের অনেকেই। ওই পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে আপাতত বিচারবিভাগীয় তদন্ত করছে লালবাজার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.