বিধান নস্কর, দমদম: প্যারোলে মুক্তি পাওয়া যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে গুলি করে খুনের ঘটনায় জারি ধরপাকড়। এখনও পর্যন্ত দু’জনকে গ্রেপ্তার করল বিধাননগরের নারায়ণপুর থানার পুলিশ। তদন্তকারীদের দাবি, ধৃত দু’জনেই নিহতের পূর্বপরিচিত। বাজেয়াপ্ত হওয়া গাড়ি এবং ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ফরেনসিক আধিকারিকরা। নমুনা সংগ্রহ করেন তাঁরা।
বিধাননগরের ডিসি (নিউটাউন জোন) ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধে সাড়ে সাতটা নাগাদ নারায়ণপুর থানার অদূরে সিআইএসএফ এবং দমকলের ট্রেনিং ক্যাম্পের কাছে শুটআউটের ঘটনাটি ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় নারায়ণপুরের বাসিন্দা দেবজ্যোতি ঘোষকে উদ্ধার করা হয়। তাকে স্থানীয় বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে ততক্ষণে মৃত্যু হয় দেবজ্যোতির। সে হাওড়া জেলে ছিল। ১৫ দিনের জন্য প্যারোলে বাড়ি ফিরেছিল সে। নিয়মমাফিক বৃহস্পতিবার সন্ধেয় থানাতে হাজিরা দিতে গিয়েছিল। থানা থেকে নিজের চারচাকা গাড়িতে বাড়ি ফিরছিল। সেই সময় দু’টি বাইকে করে চারজন দুষ্কৃতী আসে। তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। সেই সময় দেবজ্যোতি ঘোষের গাড়িতে ছিলেন চালক শুভ দে।
ঘটনার পর রাতেই শুভকে আটক করে পুলিশ। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে অবশেষে শুক্রবার দুপুরে দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃত সুজয় দাস, নারায়ণপুরের বাসিন্দা। অপর ধৃত বিক্রম মাহাতো, ইছাপুরের নোয়াপাড়ার বাসিন্দা। ধৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে পারে, গুলি করে খুন করা ওই ব্যক্তির সঙ্গে অভিযুক্তদের প্রায় ১০-১২ বছর ধরে আলাপ। তারা একসাথে অপরাধমূলক কাজও করেছে। ওই কাজের টাকা ভাগাভাগি নিয়ে অশান্তি ছিল। সে কারণেই দেবজ্যোতি ঘোষকে অভিযুক্তরা গুলি করে খুন করেছে বলেই অনুমান। এখনও অধরা দু’জন। তাদের খোঁজেও বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চলছে। দেবজ্যোতির গাড়িচালক শুভ দে আদৌ এই ঘটনায় যুক্ত কিনা, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.