অর্ণব আইচ ও নিরুফা খাতুন: আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ভাঙচুরের ঘটনায় জারি ধরপাকড়। শনিবার সকাল পর্যন্ত ধৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৩০। শুক্রবার পর্যন্ত এই ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয় ২৪ জনকে। এর পর নতুন করে আরও ৬ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গত ৮ আগস্ট, আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে(RG Kar Hospital) নাইট ডিউটি ছিল তরুণী চিকিৎসকের। রাতে নৃশংস অত্যাচারের শিকার হন তিনি। মৃত্যুও হয়। পরদিন সকালে সেমিনার হল থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। সেই সময় প্রায় বিবস্ত্র অবস্থায় ছিলেন তিনি। এই ঘটনার প্রতিবাদে সোচ্চার প্রায় গোটা দেশ। চতুর্দিকে ওঠে আন্দোলনের ঝড়। আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে গত ১৪ আগস্ট রাতে ‘রাত দখল’ কর্মসূচিতে অংশ নেন মহিলারা। অভিযোগ, ওই রাতেই আর জি করে ঢুকে তাণ্ডব চালায় বহিরাগতরা। এই ঘটনায় ভেঙে তছনছ হয়ে যায় হাসপাতাল। জখম হন আন্দোলনরত চিকিৎসক ও পুলিশকর্মীরা। জরুরি বিভাগ, ওষুধের স্টোররুম ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এই ঘটনা নিয়ে শুক্রবারই সাংবাদিক বৈঠক করেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। শুরুতেই দুটি ভিডিও দেখান। একটি ১ মিনিট ২৮ সেকেন্ডের এবং অপর ভিডিওটি ১ মিনিট ৮ সেকেন্ডের। কীভাবে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে বহিরাগতরা ঢুকে পড়লেন, তা ওই ভিডিও দুটির মাধ্যমে দেখানো হয়। পুলিশের বিরুদ্ধে ওঠা ‘ব্যর্থতা’র অভিযোগে কার্যত দায় স্বীকার করে নেন সিপি। তিনি বলেন, “আরজি করের সামনে আন্দোলন যে আচমকা হিংসাত্মক হয়ে উঠবে, ভাবতে পারিনি। আমাদের ভাবনায় ভুল ছিল। একে আমাদের ব্যর্থতা বললে বলতে পারেন।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.