Advertisement
Advertisement

Breaking News

Maldah

ই-ওয়ালেট সংস্থার সঙ্গে ৩৬ লক্ষ টাকার জালিয়াতি, মালদহ থেকে গ্রেপ্তার ১ ব্যক্তি

কীভাবে ওই জালিয়াতি করেছে অভিযুক্ত ব্যক্তি?

Police arrested one person form maldah for duping 36 lakhs | Sangbad Pratidin

ছবি: প্রতীকী।

Published by: Abhisek Rakshit
  • Posted:July 17, 2021 9:21 pm
  • Updated:July 17, 2021 9:21 pm  

অর্ণব আইচ: ই-ওয়ালেটে জালিয়াতি। একটি ই-ওয়ালেট (E-wallet) সংস্থার কম্পিউটার প্রোগ্রামিং পালটে দিয়ে ৩৬ লক্ষ টাকার জালিয়াতির অভিযোগে গ্রেপ্তার হলেন এক ব্যক্তি। পার্থসারথি সাহা নামে ওই ব্যক্তিকে মালদহ (Maldah) থেকে গ্রেপ্তার করলেন লালবাজারের সাইবার থানার আধিকারিকরা।

পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগকারী সংস্থার ই-ওয়ালেটের মাধ্যমেও টাকার লেনদেন হয়। ওই ওয়ালেটের সঙ্গে কর্মরত রয়েছেন কয়েকজন ‘পার্টনার’। সাধারণ মানুষ ও বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা যাতে ওই ই-ওয়ালেটটি ব্যবহার করেন, তার প্রচার চালায় ওই ‘পার্টনার’রা। সংস্থার সঙ্গে ‘পার্টনার’দের এমন চুক্তি রয়েছে যে, ওয়ালেটে টাকা জমা পড়ার সময় তার এক শতাংশ কমিশন হিসাবে পাবেন পার্টনার। ওই টাকা পার্টনারের অ্যাকাউন্টে পৌঁছে যাবে। বাকি ৯৯ শতাংশ টাকা পাবে ওই ওয়ালেট সংস্থাটি। এই ব্যাপারটি যাতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে হয়, তার জন্য একটি সফ্টওয়্যারের সাহায্যে সংস্থার মূল কম্পিউটারে প্রোগ্রামিং করা আছে। সংস্থাটির অভিযোগ, গত এক মাস ধরে সংস্থার কর্তারা দেখতে পান যে, যত টাকা ওয়ালেটে পড়ার কথা, তত টাকা পড়ছে না। বিশেষ করে একজন ‘পার্টনার’এর উপর তাঁদের সন্দেহ হয়। তাঁরা কম্পিউটার পরীক্ষা করে জানতে পারেন, পার্থসারথি সাহা নামে ওই ‘পার্টনার’ কোনওভাবে কম্পিউটারের প্রোগ্রামিং পাল্টেছেন। তার ফলে যেখানে এক শতাংশ তাঁর পাওয়ার কথা, তার বদলে ১০০ শতাংশ টাকা তাঁর অ্যাকাউন্টে চলে যাচ্ছে। সেখানে কোনও টাকাই যাচ্ছে না ওয়ালেটের সংস্থার অ্যাকাউন্টে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: নিশীথ প্রামাণিক বাংলাদেশি? কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন ব্রাত্য বসুর]

অভিযোগ, এই পদ্ধতিতে ৩৬ লক্ষ টাকা জালিয়াতি করেছেন ওই ব্যক্তি। এই ব্যাপারে ওই ব্যক্তিকে সংস্থার পক্ষ থেকে প্রশ্ন করা হলে তিনি যোগাযোগ করা বন্ধ করে দেন। তখন ওই ওয়ালেট সংস্থাটি তাঁর বিরুদ্ধে লালবাজারের সাইবার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ দায়ের হওয়ার পরই মালদহে পালিয়ে যান ওই ব্যক্তি। সেখান থেকে সাইবার থানার আধিকারিকরা গ্রেপ্তার করার পর ট্রানজিট রিমান্ডে তাঁকে কলকাতায় নিয়ে আসেন। শনিবার তাঁকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হয়। ধৃতকে ২৬ জুলাই পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে রখার নির্দেশ দেন বিচারক। তাঁকে জেরা করে এই জালিয়াতির পিছনে আরও কেউ রয়েছে কি না, তা জানার চেষ্টা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

[আরও পড়ুন: রাজ্যে উপনির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু! EVM-ভিভিপ্যাটের ‘প্রথম পর্যায়ের’ পরীক্ষার নির্দেশ কমিশনের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement