রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: এখনও আদালতের উপর নির্ভর রয়েছে বিজেপির রথযাত্রা কর্মসূচির ভবিষ্যৎ৷ প্রকাশ্যে না বললেও রাজ্য বিজেপি নেতাদের অনেকেই স্বীকার করে নিচ্ছেন যে, এতে কিছুটা হলেও মনোবলে চিড় ধরেছে দলীয় কর্মীদের৷ এবার কর্মীদের সেই ভেঙে পড়া মনোবলকে চাঙ্গা করতে তৎপর দলের শীর্ষ নেতৃত্ব৷ নতুন বছরের শুরুতেই তাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে রাজ্যে আনতে চাইছেন তাঁরা৷ মোদির ভাষণকে কাজে লাগিয়ে সমর্থকদের নুইয়ে পড়া মনোবলকে ‘চার্জ আপ’ করতে চাইছেন দিলীপ ঘোষ, রাহুল সিনহারা৷ সূত্রের খবর, আগামী ২৯ জানুয়ারি ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে প্রধানমন্ত্রীর সভার জন্য ইতিমধ্যেই নাকি সেনার কাছে অনুমতি চেয়ে পাঠিয়েছে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব৷
[‘ফের বাংলা ভাগের চক্রান্ত হচ্ছে’, শহরে এসে আরএসএসকে তীব্র আক্রমণ কানহাইয়ার]
সূত্রের খবর, এই সভার অনুমতি চেয়ে গত সোমবারই সেনার কাছে চিঠি পাঠিয়েছে ৬ মুরলীধর সেন লেনের নেতারা৷ এমনকী, ২৯ জানুয়ারি দিনটিতে সভা করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকেও অনুমতি চলে এসেছে তাঁদের কাছে। এবার সেনার অনুমতি পেলেই নতুন বছরের শুরুতেই শহরে আসবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ এখনও সুপ্রিম কোর্টে আটকে রয়েছে রথযাত্রা মামলা। রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের আশা, জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই এই মামলার বিষয়ে কিছু একটা রায় দেবে শীর্ষ আদালত। সূত্রের খবর, রথযাত্রার সম্মতি মিলবে ধরেই কাজ শুরু করতে চলেছেন রাজ্য নেতারা। সেক্ষেত্রে ১৫ জানুয়ারির পরই রথ বের করবেন বলে পরিকল্পনা করছেন তাঁরা৷ প্রয়োজনে কর্মসূচির দৈর্ঘ্য কমিয়ে অনেকটাই সংক্ষিপ্ত করে দেওয়া হবে এবং এরপরই ২৯ জানুয়ারি ব্রিগেড হবে প্রধানমন্ত্রীর সভা৷ ২৯ জানুয়ারি কোনও সমস্যা হলে বিকল্প দিন ৭ ফেব্রুয়ারিও দেওয়া হয়েছে ব্রিগেডে প্রধানমন্ত্রীর সভার জন্য।
[মার্কিন মুলুকে ‘শাট ডাউন’, কলকাতায় বন্ধ আমেরিকান সেন্টার]
লোকসভার আগে সমস্ত রাজনৈতিক দলই ব্রিগেড সমাবেশের ডাক দিয়েছে৷ আগামী ১৯ জানুয়ারি ব্রিগেড সমাবেশ করতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস৷ সেখানে উপস্থিত থাকার জন্য ইতিমধ্যেই আমন্ত্রণ জানান হয়েছে বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলকে৷ ৩ ফেব্রুয়ারি ব্রিগেডে সভা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিপিএম। ব্রিগেড সমাবেশ করার পরিকল্পনা নিয়েছে কংগ্রেসও৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.