দু’ দিনের রাজ্য সফরে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রবিবার পোর্ট ট্রাস্টের সার্ধ শতবর্ষের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন তিনি। আজ বিকেল ৩টে ৩৫ এ দমদম বিমানবন্দরে নামেন তিনি। শহরজুড়ে বিক্ষোভের মাঝে সড়কপথে যাত্রা এড়িয়ে চপারে রেসকোর্স হয়ে রাজভবনে পৌঁছন মোদি। সেখানে তাঁর সঙ্গে প্রায় ২২ মিনিটের আলোচনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এরপর বিজেপি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের পর রাত সাড়ে আটটার পর জলপথে নরেন্দ্র মোদি পৌঁছন বেলুড় মঠে। সেখানেই রাত্রিবাস করবেন প্রধানমন্ত্রী।
রাত ৯.১৫: মেট্রো চ্যানেলে বাম ছাত্র যুবদের অবস্থান। বন্ধ দূরপাল্লার বাস। বিপাকে উত্তরবঙ্গ-সহ দূরের যাত্রীরা। সারারাত অবস্থান চলবে, হুঁশিয়ারি বিক্ষোভকারীদের।
রাত ৮.৩৯: বেলুড় মঠে পৌঁছলেন প্রধানমন্ত্রী। এখানে নৈশভোজের পর রাত্রিযাপন। শ্রীরামকৃষ্ণদেবের প্রসাদ – খিচুড়ি, পায়েস, মিষ্টি দিয়েই সারবেন রাতের খাবার। এখানকার গেস্ট হাউসেই রাত কাটাবেন মোদি।
রাত ৮.০৭: গঙ্গাবক্ষে নৌকা চড়ে বেলুড় মঠের উদ্দেশে রওনা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
সন্ধে ৭.৫০: ব্যারিকেড ভেঙে বিক্ষোভকারীরা এগিয়ে যেতে চাইলে পুলিশকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রীতিমত হিমশিম খেতে হয়। অভিযোগ, অশান্তির নেপথ্যে যাদবপুরের বামপন্থী ছাত্রছাত্রীরা। শান্তি বজায় রাখার আবেদন মুখ্যমন্ত্রীর।
সন্ধে ৭.৩০: CAA বিরোধিতা সত্বেও কেন মোদির সঙ্গে আলোচনা, এই প্রশ্ন তুলে ধর্মতলায় টিএমসিপির ধরনামঞ্চের সামনে বিক্ষোভ বাম ছাত্র সংগঠনের। সেখান থেকেই তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সঙ্গে তাঁদের তুমুল সংঘর্ষ। দু’পক্ষের হাতাহাতিতে কার্যত রণক্ষেত্র ডোরিনা ক্রসিং। খবর পেয়ে মুখ্যমন্ত্রী মিলেনিয়াম পার্ক থেকে চলে যান সেখানে। তিনি দাঁড়িয়ে থেকে পরিসস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন।
সন্ধে ৭.০৫: মিলেনিয়াম পার্ক থেকে হাওড়া ব্রিজের লাইট অ্যান্ড সাউন্ডের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এখানে মোদির সঙ্গে ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। পরে সংবর্ধনা মঞ্চেও পাশাপাশি বসলেন মোদি-মমতা।
সন্ধে ৬.৪৫: দেশের ৫টি আন্তর্জাতিক মানের জাদুঘর সংস্কারের ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী। সংস্কার হবে কলকাতা জাদুঘর, ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল, ওল্ড কারেন্সি বিল্ডিং-সহ এখানকার বেশ কয়েকটি ভবন। জানালেন মোদি।
সন্ধে ৬.২৫: ওল্ড কারেন্সি বিল্ডিংয়ের প্রেক্ষাগৃহে বক্তব্য পেশ নরেন্দ্র মোদির। বাংলার মাটিতে পা রেখে মনীষীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানালেন। বললেন, ”কলকাতা সংস্কৃত, শিল্প, সাহিত্যের পীঠস্থান। আমি ছোটবেলা থেকেই বাংলার প্রতি আগ্রহী। বেলুড় মঠ আমাকে এখানে টেনে এনেছে।”
বিকেল ৫.৫৬: ধর্মতলায় টিএমসপি-র ধরনামঞ্চ থেকে CAA-NRC বিরোধিতায় সুর আরও চড়ালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, ”যে আইন খাতায়-কলমে রয়েছে, তা সেখানেই সীমাবদ্ধ থাকবে। জনগণ না চাইলে তা বাস্তবায়িত হবে না।”
বিকেল ৫.৫২: ওল্ড কারেন্সি মিউজিয়াম দেখতে গেলেন মোদি, সঙ্গে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়।
West Bengal: Prime Minister Narendra Modi unveiled a statue at Old Currency Building in Kolkata. Governor Jagdeep Dhankhar also present. pic.twitter.com/y9DZGk4pEt
— ANI (@ANI) January 11, 2020
বিকেল ৫.৪৫: মোদির সফরের মাঝে CAA’র বিরোধিতায় টালিগঞ্জ থেকে গড়িয়া মানববন্ধন নাগরিক মঞ্চের সদস্যদের।
বিকেল ৫.১৭: রাজ্য বিজেপির প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আলোচনায় বসলেন মোদি।
বিকেল ৫.১০: রাজভবন থেকে বেরিয়ে রানি রাসমনি রোডে টিএমসিপি-র ধরনা মঞ্চে যোগ দিলেন মমতা।
বিকেল ৪.৫৫: মোদি-মমতার আলোচনার বিরোধিতায় ধর্মতলায় বসে পড়ে বিক্ষোভে শামিল সিপিএম নেতা মহঃ সেলিম।
বিকেল ৪.৫০: মমতা-মোদির বৈঠক শেষ। রাজভবন থেকে বেরিয়ে পড়লেন মুখ্যমন্ত্রী। কেন্দ্রের কাছে রাজ্যের প্রাপ্তি ২৮ হাজার কোটি টাকা মিটিয়ে দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন বলে সাংবাদিকদের কাছে জানিয়েছেন মমতা। পাশাপাশি, CAA, NRC প্রত্যাহারের পক্ষেও সওয়াল করেছেন তিনি।
বিকেল ৪.৪৬: রাজভবনের নর্থ গেটে জোর করে ঢুকে বিক্ষোভ যুব কংগ্রেসের। আটক যুব কংগ্রেস কর্মী হাবিবুর রহমান।
বিকেল ৪.৩৮: শুরু হল মোদি-মমতা বৈঠক।
বিকেল ৪.৩০: রাজভবনের সামনে মোদিকে দেখার জন্য উৎসাহী জনতার ভিড়।
বিকেল ৪.২৭: মোদির সঙ্গে বৈঠক করতে রাজভবনে পৌঁছেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
বিকেল ৪.২৩: রাজভবনে প্রবেশ করলেন নরেন্দ্র মোদি।
বিকেল ৪.০৭: প্রধানমন্ত্রীর চপার পৌঁছল রেসকোর্সে।
বিকেল ৪.০২: রাজভবনে পৌঁছে গেল বিজেপি প্রতিনিধি দল। গেটের বাইরে গাড়ি ও মোবাইল রেখে ঢুকতে হল বিজেপি নেতৃত্বকে। দলে রয়েছেন শিবপ্রকাশ, রূপা গঙ্গোপাধ্যায়।
দুপুর ৩.৪০: বিমানবন্দরের সামনে মোদি-বিরোধী পোস্টার হাতে পড়ুয়াদের বিক্ষোভ।
দুপুর ৩.৩৫: কলকাতায় পৌঁছলেন প্রধানমন্ত্রী। নির্ধারিত সময়ের ৫ মিনিট পর পৌঁছন তিনি। গোলাপি গোলাপ দিয়ে তাঁকে স্বাগত জানান রাজ্যপাল ধনকড়। উত্তরীয় পরিয়ে মোদিকে অভ্যর্থনা জানান মেয়র ফিরহাদ হাকিম। স্বাগত জানান দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায়, অর্জুন সিংও।
দুুপুর ৩.২০: বিমানবন্দরের ১ নং গেটের কাছে বিক্ষোভ মিছিল সিপিএমের। মোদির সঙ্গে মমতার বৈঠকের বিরোধিতায় শহরবাসীকে শামিল হওয়ার আবেদন জেএনইউ-এর ছাত্র সংসদের সভানেত্রী ঐশী ঘোষের।
দুপুর ৩.১৫: প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে পৌঁছেছেন পুর-নগরোন্নয়ন মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। পৌঁছেছেন দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায়।
দুপুর ৩.০৫: বেলুড় মঠে চূড়ান্ত নিরাপত্তা। পুলিশ কুকুর দিয়ে পরীক্ষা করানো হল মঠের চারপাশ।
দুপুর ৩: প্রধানমন্ত্রীর কলকাতায় আসার সময় যত এগিয়ে আসছে, ততই বাড়ছে বিক্ষোভের আঁচ। বিমানবন্দরের সামনে ছড়িয়ে পড়েছে পড়ুয়াদের মিছিল।
দুপুর ২.৪৭: যাদবপুরের পড়ুয়াদের মিছিলের জেরে এইট বি বাসস্ট্যান্ড লাগোয়া রাস্তায় অবরোধ। চিনার পার্ক, কৈখালি, ভাঙড়েও মোদি-বিরোধী মিছিল। বামপন্থী পড়ুয়াদের মিছিল নন্দন চত্বরে।
দুপুর ২.৪২: হাওড়া ব্রিজ, ধর্মতলা, কলেজ স্ট্রিটে শুরু মোদি-বিরোধী বিক্ষোভ।
দুপুর ২.৩৫: ‘মোদি দূর হঠো’ স্লোগান তুলে মিছিলে শামিল এসইউসিআই। সঙ্গে মোদি কাটআউট, পোস্টার।
দুপুর ২.১০: রাজভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক সেরে ধর্মতলায় টিএমসিপি-র ধরনামঞ্চে যোগ দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
দুপুর ১.৪০: গোলপার্কের সামনে মোদি-বিরোধী মিছিল পড়ুয়াদের।
দুপুর ১.১৫: ধর্মতলায় CAA বিরোধী ধরনায় টিএমসিপি।
দুপুর ১: বিমানবন্দরের সামনে ছাত্রছাত্রীদের বিক্ষোভ মিছিল। সেখান থেকে উঠল মোদি বিরোধী স্লোগান। পুলিশ মিছিলকারীদের হঠিয়ে দেয়।
দুপুর ১২.২৯: বিজেপি প্রতিনিধি দলের ১৫ জন সদস্য রাজভবনে গিয়ে দেখা করবেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে।
রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে কথা হবে। CAA সমর্থনে এক কোটি পোস্টকার্ড-এর একটি স্মারক তাঁকে দেখানো হতে পারে।
দুপুর ১২.০৬: প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে বিকেল ৫ টা নাগাদ রাজভবনে যাবে রাজ্য বিজেপির কোর কমিটি। দিলীপ ঘোষ-সহ কৈলাস বিজয়বর্গীয়, অরবিন্দ মেননদের যাওয়ার কথা।
সকাল ১১.৫০: ধর্মতলা, রাজভবন চত্বরে কর্ডন পুলিশের।
সকাল ১১.৩০: রাজভবন চত্বর ঘিরে পুলিশের ব্যারিকেড। ধর্মতলা, ডালহৌসির বিভিন্ন রাস্তাও ব্যারিকেড দিয়ে ঘেরা। রাস্তায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রিত।
সকাল ১১: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের একাংশ শামিল হচ্ছে মোদি-বিরোধী বিক্ষোভে। হাতে ‘গো ব্যাক মোদি’ হোর্ডিং, সঙ্গে কালো বেলুন নিয়ে পথে নেমে পড়েছেন তাঁরা।
সকাল ১০.৩০: মোদির কলকাতায় পা রাখার পর তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ কর্মসূচির পরিকল্পনা বাম ছাত্রসংগঠনের। বিমানবন্দর লাগোয়া বাইপাস, ভিআইপি রোডে কালো পতাকা নিয়ে ‘মোদি গো ব্যাক’ স্লোগানের কর্মসূচি। তৈরি হচ্ছে পোস্টার, ব্যানার।
সকাল ১০: নরেন্দ্র মোদিকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুতি তুঙ্গে বিজেপি রাজ্য দপ্তরে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার জন্য তৈরি প্রতিনিধিদল। স্বল্প সময়ে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাতে কী কী বিষয়ে আলোচনা সেরে নেওয়া যেতে পারে, তার প্রস্তুতি।
সকাল ৯.১৫: বাংলা সফর নিয়ে বেশ উৎসাহী, টুইটারে তা প্রকাশ করলেন নরেন্দ্র মোদি। আগামিকাল, স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিবসে বেলুড় মঠের সংস্পর্শে থাকতে পারবেন বলে বিশেষভাবে আনন্দিত মোদি।
সকাল ৯: প্রধানমন্ত্রীর সফর ঘিরে সকাল থেকেই শহরের বিভিন্ন প্রান্তে নিরাপত্তার কড়াকড়ি। আঁটসাঁট নিরাপত্তা দমদম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। জনবহুলগুলি, বিশেষত, যে পথে প্রধানমন্ত্রীর যাওয়ার সম্ভাবনা, সেখানে মোতায়েন প্রচুর পুলিশ, কেন্দ্রীয় নিরাপত্তাবাহিনী।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.