রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: ব্রিগেডে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সভা পিছিয়ে গেল। সভা হতে পারে ২৯ জানুয়ারি থেকে ৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে। প্রথমে ঠিক হয়েছিল ২৩ জানুয়ারি ব্রিগেডে বিজেপির সভা হবে। তৃণমূলের শহিদ দিবসের দিন একথা ঘোষণা করেছিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিনহা। পরে সভা এগিয়ে ৯ জানুয়ারি করার কথা ভাবা হয়। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর সময় পাওয়া যাচ্ছে না। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ শনিবার জানিয়েছেন, দলের তরফে ২৯ জানুয়ারি থেকে ৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর সময় চাওয়া হয়েছে। এদিকে, দলের রথযাত্রা কর্মসূচি ৩ ডিসেম্বর শুরু হচ্ছে তারাপীঠ থেকে। শনিবার ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে দলীয় বৈঠকে এই রথযাত্রা কর্মসূচির তিনটি দিন চূড়ান্ত হয়েছে। দ্বিতীয় রথটি বেরবে ৫ ডিসেম্বর কোচবিহার থেকে। গঙ্গাসাগর থেকে তৃতীয় রথ বেরবে ৭ ডিসেম্বর। রথযাত্রা কর্মসূচির সূচনা করার কথা দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহর। আর শেষ হবে ব্রিগেডের সভায়। যেখানে থাকবেন প্রধানমন্ত্রী। রথযাত্রায় বিজেপি শাসিত সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা এবং মোট ২০জন কেন্দ্রীয় নেতা থাকবেন বলে ঠিক হয়েছে।
শনিবার দলের রাজ্য নেতা, জেলা সভাপতি ও মোর্চা নেতাদের নিয়ে ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে অনুষ্ঠিত বঙ্গ বিজেপির রুদ্ধদ্বার বৈঠকে আলোচনার অন্যতম বিষয় ছিল এনআরসিও। এনআরসি নিয়ে তৃণমূলের পাল্টা প্রচারে নামার জন্য এদিন বৈঠকে দলীয় কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়। বেশ কিছু স্ট্র্যাটেজি নেওয়া হয়েছে। বৈঠকে ছিলেন কেন্দ্রীয় নেতা শিবপ্রকাশ, রাহুল সিনহা ছাড়াও রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ-সহ শীর্ষ নেতৃত্ব। ঠিক হয়েছে, একেবারে বুথ-স্তর পর্যন্ত সভা হবে। এছাড়া লিফলেট বিলি, মাইক প্রচার চলবে। শরণার্থী ও অনুপ্রবেশকারীর পার্থক্যটা বোঝাতে হবে সাধারণ মানুষকে। এমনটাই বলেছেন কেন্দ্রীয় নেতারা।
অসমের নাগরিকপঞ্জির প্রচারের পর প্রথম আওয়াজ তোলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সংসদে মুখ্যমন্ত্রীকে ঘিরেই বিরোধীদের ঐক্য দানা বেঁধেছে। সংসদের ভিতরে নাগরিকপঞ্জি নিয়ে বিরোধীদের ফোরফ্রন্টে রয়েছে তৃণমূল। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, মমতার এই আন্দোলনে এ রাজ্যেও যথেষ্টই চাপে গেরুয়া শিবির। তাই বাংলায় এনআরসি নিয়ে পাল্টা প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়তে রাজ্য নেতাদের এদিন নির্দেশ দিয়েছেন কৈলাস। এনআরসির বিষয়টি নিয়ে ৫ আগস্ট থেকে ১৪ আগস্ট পর্যন্ত রাজ্য নেতারা জেলায় জেলায় যাবেন। দলীয় বৈঠকে এদিন বিজয়বর্গীয় বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গেও এনআরসি জরুরি। এনআরসি হলে ১ কোটিরও বেশি অনুপ্রবেশকারী এখানে চিহ্নিত হতে পারে। এদিন বিজেপির রাজ্য দফতরে কৈলাস বিজয়বর্গীয়, দিলীপ ঘোষদের উপস্থিতিতে পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের দু’জন সদস্য রুবি ধীবর ও গোলাম জার্জিস তৃণমূল থেকে গেরুয়া শিবিরে যোগ দেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.