রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: ফের পিছোল এ রাজ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সভা। প্রধানমন্ত্রীর সভার নির্ঘণ্টে পরিবর্তন। ২৮ জানুয়ারি আসছেন না মোদি। বরং ২ ফেব্রুয়ারি একইদিনে দুটি সভা করবেন তিনি। আগেই বিজেপির রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের মতান্তরের পর স্থগিত হয়ে গিয়েছিল ব্রিগেডের সভা। তখন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানিয়েছিলেন, আপাতত ব্রিগেডের সভা হচ্ছে না। তার বদলে এ রাজ্যে আরও ৩টি সভা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। জানুয়ারির শেষ থেকেই শুরু হওয়ার কথা ছিল তাঁর কর্মসূচির। ২৮ জানুয়ারি শিলিগুড়িতে, ৩১ জানুয়ারি ঠাকুরনগরে এবং ৮ ফেব্রুয়ারি আসানসোলে সভা করার কথা ছিল প্রধানমন্ত্রীর। কিন্তু নির্ঘণ্ট বদলে এবার ২ ফেব্রুয়ারি ঠাকুরনগর এবং আসানসোল অথবা দুর্গাপুরে সভা করবেন মোদি। আর ৮ ফেব্রুয়ারি শিলিগুড়িতে সভা করবেন প্রধানমন্ত্রী।
বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বুধবার জানিয়েছেন, ২ ফেব্রুয়ারি একইদিনে বনগাঁ মহকুমার ঠাকুরনগরে ও আসানসোল অথবা দুর্গাপুরে সভা করবেন মোদি। আর ৮ ফেব্রুয়ারি শিলিগুড়িতে সভা করবেন তিনি। মোদির রাজ্যে আসার কথা ছিল ২৮ জানুয়ারি, ২ ফেব্রুয়ারি ও ৮ ফেব্রুয়ারি। তিনদিন ওই তিন জায়গায় সভা করতেন। এবার দুদিন রাজ্যে আসছেন প্রধানমন্ত্রী। একইদিনে বনগাঁ ও আসানসোলে আসবেন। প্রধানমন্ত্রীর এই পরিবর্তিত সূচির কথা জানানো হয়েছে। উল্লেখ্য, মতুয়া ভোটের লক্ষ্যে লোকসভার আগে ঠাকুরনগরে মোদিকে দিয়ে সভা করানোর ভাবনা ছিল বঙ্গ বিজেপির। সেইমতো ঠাকুরনগরে সভা হচ্ছে। কিন্তু বারবার সভার দিন পিছনোয় রাজ্য বিজেপি ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের মধ্যে মতবিরোধকেই দায়ী করছে ওয়াকিবহাল মহল।
[লোকসভার আগে রাজ্যে ৩২টি জনসভা বিজেপির, থাকবেন একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা]
প্রসঙ্গত, বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব বারবার জোর দিচ্ছিলেন ব্রিগেডের সভায়। সেটা রাজ্য বিজেপির কাছে এক প্রেস্টিজ ফাইটের মতোই ছিল। সদ্যই ব্রিগেড ভরিয়ে জনসভা করেছে তৃণমূল। সঙ্গে ছিলেন বিজেপি বিরোধী দলের প্রতিনিধিরা। ৩ ফেব্রুয়ারি সিপিএমের জনসভা ব্রিগেডে। এই পরিস্থিতিতে একই জায়গায় প্রধানমন্ত্রীর সভাতেও জনতার ঢল নামানোকেই পাখির চোখ করেছিলেন রাজ্যের নেতা, কর্মীরা। তাই ৮ তারিখের সভা আপাতত স্থগিত হওয়ায় তাঁদের মনোবল কিছুটা ধাক্কা খেয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের মতে, মুষড়ে পড়ার কিছু নেই। মোদি বাংলায় ৩টি সভা করবেন। আর তাতে আরও চাঙ্গা হবে দলের সংগঠন। এমনিতেই এ রাজ্যে বিজেপির সংগঠনের হাল বেশি ভাল নয়। তাই নরেন্দ্র মোদিকে এনে তা কিছুটা শক্তিশালী করতে বদ্ধপরিকর বিজেপি নেতৃত্ব।
[‘ভয় পেয়েছেন মমতা, তাই রথযাত্রার অনুমতি দেননি’, আক্রমণ অমিতের]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.