রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: আগামী ১১ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হতে চলেছে লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফা৷ ওদিন নির্বাচন হতে চলেছে দেশের ৯১টি লোকসভা কেন্দ্রে৷ যার মধ্যে রয়েছে এরাজ্যের দুটি লোকসভা কেন্দ্র, কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার৷ এবং প্রথম দফার নির্বাচন হওয়ার আগেই এরাজ্যে প্রচারে ঝড় তুলতে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ আগামী ৩ এপ্রিল ব্রিগেডে জনসভা করবেন তিনি৷ এবং প্রতি দফার নির্বাচনের আগেই রাজ্যে আসবেন প্রধানমন্ত্রী৷
[‘পাশে আছি’, এসএসসি চাকরি প্রার্থীদের অনশন মঞ্চে বার্তা বিমান বসুর ]
ভোটের প্রচারে এসে রাজ্যে চারদিন থাকবেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। পাঁচটি জোনে ৫টি সাংগঠনিক বৈঠক করবেন তিনি৷ এপ্রিলের শুরুতেই রাজ্যে প্রচারে আসছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী তথা দলের হিন্দুত্ববাদের ‘পোস্টার বয়’ যোগী আদিত্যনাথ৷ মালদহ থেকে নির্বাচনী প্রচার শুরু করবেন তিনি৷ যাবেন বসিরহাট ও রায়গঞ্জেও৷এবারের লোকসভা নির্বাচনে বাংলাকে পাখির চোখ করেছে গেরুয়া শিবির৷ বাংলার ৪২টি আসনের মধ্যে ২২ থেকে ২৩টি আসন পাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন খোদ বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ৷ সেলক্ষ্যেই বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে বুথভিত্তিক সংগঠন মজবুত করার কাজ শুরু করে বিজেপি৷ জানা গিয়েছে, আগামিদিনে বাংলায় ২০টিরও বেশি জনসভা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ-রা৷ বাংলার মাঠ-ময়দান, গ্রাম-শহর চষে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা৷ যেকোনও ভাবে রাজ্যের শাসকদলকে বেগ দেওয়া এবং এখান থেকে যতটা সম্ভব বেশি আসন দখল করাই লক্ষ্য গেরুয়া শিবিরের৷ সেমতোই গেম প্ল্যান তৈরি করছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব৷
[৫৬-তে ‘রজঃস্বলা’, জটিল অস্ত্রোপচারে সুস্থ বিজয়গড়ের গৃহবধূ]
কিন্তু প্রার্থী ঘোষণার পর থেকেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জেরবার বিজেপি৷ রাজ্য দপ্তর থেকে শুরু করে জেলায় জেলায় প্রার্থী বাছাই নিয়ে ক্ষোভ দেখাচ্ছেন নেতা-কর্মীরা৷ যা প্রশমন করতে মাঠে নামতে হয়েছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে৷ শনিবার ন্যাশনাল লাইব্রেরি অডিটোরিয়ামে জরুরি বৈঠকে বসে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব৷ যেখানে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির সমস্ত সাংগঠনিক জেলার সভাপতি থেকে শুরু করে জেলার পর্যবেক্ষক, রাজ্যের শীর্ষ নেতারা৷ ছিলেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এবং প্রার্থীরা৷ জানা গিয়েছে, বৈঠকে কর্মীদের ক্ষোভ প্রশমনে সমস্ত রকমের চেষ্টা করেন শীর্ষ নেতারা৷ তবে বিক্ষুব্ধ কর্মীদের স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়, কোনও মতেই প্রার্থী বদল করা হবে না৷ কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সিদ্ধান্তই মেনে চলতে হবে৷ এটাই বিজেপির অনুশাসন৷ যারা প্রার্থী হতে পারেননি তাঁদের মন খারাপ করতে বারণ করেন রাজ্য বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়।
[বুথে বুথে প্রশিক্ষিত অ্যাটেন্ড্যান্ট-সহ ‘ক্রেশ’ রাখার নির্দেশ, বিপাকে ভোটকর্তারা]
কর্মীদের উদ্দেশ্যে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘২৩ মে বাংলা থেকে ২৩টি আসন নরেন্দ্র মোদিকে উপহার দিতে চাই। সেজন্য আপনারা মূল্যবান সময় ও শ্রম দেবেন। যাঁরা অন্যদল থেকে এসেছেন। তাঁরা জীবনের ঝুঁকি ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে এসেছেন। তাঁদের হিম্মতের জন্য অভিনন্দন। সবাইকে নিয়ে চলতে হবে৷’’ পাশাপাশি দিলীপ ঘোষ আরও জানান, প্রত্যেক ভোটারের কাছে প্রার্থীকে যেতে হবে। প্রত্যেকের বাড়িতে গিয়ে হাতজোড় করে বিজেপি নীতি-আদর্শের কথা বোঝাতে হবে। তিনি বলেন, ‘‘মানুষের কাছে গিয়ে বলুন, মোদিজি আবার প্রধানমন্ত্রী হবেন। সেই জয়ের ভাগীদার আপনিও। যারা গতবার অন্যদলকে ভোট দিয়েছিল তাঁদের কাছেও যান। কেউ যেন ভোটের পর বলতে না পারে, যে বিজেপির কেউ তাঁর কাছে আসেনি।’’ এদিন ন্যাশনাল লাইব্রেরি অডিটোরিয়ামে বিজেপিতে যোগ দেন সিপিএমের নেতা আইনুল হক৷ গত বিধানসভা নির্বাচনে বর্ধমান থেকে সিপিএমের প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.