স্টাফ রিপোর্টার: মেঘ-কুয়াশায় কবেই পার করে গিয়েছে পৌষ। এখনও ফুরোয়নি মাঘ। কিন্তু, এরইমধ্যে যে ‘বসন্ত জাগ্রত দ্বারে’! খাতায় কলমে মাঘ মাস শেষ হতে আর মাত্র এক দিন। মঙ্গলবার রাত পোহালেই ফুরোবে শীতের শেষ মাসটি। বুধ-সকালে এ বঙ্গে পা রাখবে ফাগুন। আবহাওয়াবিদরাও জানিয়ে দিয়েছেন, এ বছরের মতো শীতের খেলা শেষ। বস্তুত, রবিবার প্রায় সমস্ত আবহাওয়া সংক্রান্ত ওয়েবসাইটেও বসন্তাগমনেরই ইঙ্গিত স্পষ্ট। আর হবে না-ই বা কেন! ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার কার্যত কাঁপছে রাজধানী দিল্লি। অথচ গত কয়েক দিন ধরে এই শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা যে ১৯ ডিগ্রি নিচে নামছেই না! দিনের তাপমাত্রাও অনেকটা বেশি। ২৯.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দু’টিই স্বাভাবিকের চেয়ে এক ডিগ্রি বেশি।
[বিয়ে দিতে এসে ছাদনাতলায় অসুস্থ পুরোহিতের মৃত্যু, দেখেও দেখল না কনের পরিবার]
সকাল দশটাতেই দরদর করে ঘাম ঝরছে! দুপুরে ফুল স্পিডে চালাতে হচ্ছে ফ্যান। এসি মেট্রোয় শীতে গুটিয়ে যাওয়ার ছবি উধাও। কিন্তু, কয়েকদিন আগেই তিলোত্তমার নাগরিক জীবনের ছবি এমন ছিল না। ভরদুপুরেও বাস-ট্রামের জানালার কাচ তোলা থাকত। ফুলহাতা জ্যাকেটের সঙ্গে মাথা মুড়তে হচ্ছিল মাফলারে। কিন্তু ‘অকাল’ বসন্তে বাঙালির আদরের লেপ-বালাপোশ আর যাবতীয় শখের শীত পোশাক মুখ লুকোতে শুরু করেছে ন্যাপথলিনের আড়ালে। শুধু আবহাওয়ার মোড়কে নয়, রোগ-বেশেও হাজির বসন্ত। জানুয়ারির শেষ থেকেই এ বার চিকেনপক্স বা জলবসন্তের দাপট দেখা যাচ্ছে মহানগর ও শহরতলিতে। দোসর ফুসফুস আর পেটের সংক্রমণ। জ্বরের পাশাপাশি কাশি-গলাব্যথা যেমন কাহিল করে ছাড়ছে শহরবাসীকে, তেমনই দৌরাত্ম্য বাড়ছে নিউমোনিয়া আর ভাইরাল ডায়েরিয়ারও। কে বলবে কয়েক দশকের রেকর্ড ভেঙে এই জানুয়ারিতেই টানা ২৩ দিন স্বাভাবিকের নিচে ছিল শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। কিন্তু ফেব্রুয়ারি শুরুতেই কেন হুড়মুড়িয়ে ঢুকে পড়ল বসন্ত কেন? কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের উপমহানির্দেশক সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, বঙ্গোপসাগরে থাকা বিপরীতমুখী ঘূর্ণাবর্ত সমুদ্র থেকে প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাষ্প ঢুকিয়ে দিচ্ছে স্থলভূমিতে। তাই তাপমাত্রা যেমন বাড়ছে, তেমনই অস্বস্তি বাড়াচ্ছে আপেক্ষিক আর্দ্রতাও। আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, আপাতত দিন ২-৩ আবহাওয়া এমনই থাকবে। আংশিক মেঘলা আকাশ। সঙ্গে ভ্যাপসা গরম। বৃষ্টির সম্ভাবনা কম।
[শ্যালিকার ‘শ্লীলতাহানি’ রুখতে গিয়ে আক্রান্ত জামাইবাবু]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.