সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লক্ষ্য ছিল, প্রথম পর্বে প্রায় ১৫ লক্ষ মানুষের কাছে খাবার পৌঁছনো, কিন্তু সেই সংখ্যা ছাপিয়ে প্রশান্ত কিশোরের ‘সবকি রসোই’-এর তরফে গত ১০ দিনে দেশজুড়ে সরবরাহ করা হয়েছে ১৬.৫ লক্ষ খাবার। অর্থাৎ, প্রত্যাশার চেয়েও দেড় লক্ষ বেশি খাবারের প্যাকেট বিলি করা হয়েছে। উল্লেখ্য, কলকাতাতেই প্রায় ৯২ হাজারেরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছে গিয়েছে খাবার।
লকডাউনে এই সংকটকালীন পরিস্থিতিতে দুস্থদের পাশে দাঁড়াতে এগিয়ে এসেছে টিম পিকে। এমন কঠিন সময়ে দেশের দুর্গত মানুষেরা যাতে অভুক্ত না থাকে, সেই মানবিক উদ্যোগ থেকে প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা আই-প্যাক ‘সবকি রসোই’ চালু করেছিল। গত ৫ এপ্রিল থেকেই শুরু হয়েছে খাবার বিতরণ। প্রথমার্ধে দেশের ২০-২৫টি শহরের বিভিন্ন জায়গায় ৩৮টি রান্নাঘর এবং ৫৪টি খাদ্য সরবরাহকারী সংস্থার সঙ্গে হাত মিলিয়ে শুরু হয়েছিল এই সংস্থার তত্বাবধানে রান্না করা খাবার দুস্থদের কাছে পৌঁছে দেওয়া। কিন্তু পরে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় আরও ৩৩টি শহরে চালু করা হয় ‘সবকি রসোই’ পরিষেবা। যার সঙ্গে যুক্ত করা হয় দেশের আরও ১৩১টি খাদ্য সরবরাহকারী সংস্থাকে। গত ১১ দিনে দেশের উনিশটি রাজ্যের তেত্রিশটি শহরের প্রায় ১৬.৫ লক্ষ মানুষের কাছে পৌঁছে গিয়েছে খাবার।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অরবিন্দ কেজরিওয়ালদের ভোটকুশলী এভাবেই বুঝিয়ে দিলেন যে রাজনীতির বাইরেও তাঁর এক বৃহৎ কর্মজগত রয়েছে। লকডাউনের সময় সরকারের জারি করা যাবতীয় নিয়ম-নির্দেশিকা মেনে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই রান্না করা খাবার পৌঁছে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল পিকের টিম। পিকে ‘স্যর’-এর কড়া নির্দেশ অনুযায়ী সেইমতোই কাজ হয়েছে। নিয়ম লঙ্ঘন হয়নি কোথাও।
খাদ্য প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলি নিজেদের রান্নাঘরে সর্বোচ্চ সুরক্ষাবিধি মেনে রান্নার কাজ করেছে এবং খাবারের প্যাকেজিংও সম্পন্ন হয়েছে যাবতীয় নিয়ম মেনে। বণ্টনের কাজেও সেই একই বিধি প্রযোজ্য। সোশ্যাল ডিসটেন্সিং মেনেই সব জায়গায় দুস্থদের মাঝে খাবার সরবরাহ করা হয়েছে। পিকের নির্দেশ ছিল, সকলের হাতে যথাযোগ্য সম্মানের সঙ্গে খাবার তুলে দিতে হবে, কোথাও কোনও ফাঁকি চলবে না। তার প্রত্যেকটি নিয়মই পালন করা হয়েছে ‘সবকি রসোই’ উদ্যোগে। প্রসঙ্গত, পিকের ‘সবকি রসোই’ উদ্যোগে অংশীদার হয়েছে জোম্যাটো, সুইগির মতো সংস্থাও। কলকাতা, মুম্বই, পাটনা, হায়দরাবাদ, পাটনা, বেঙ্গালুরু, চেন্নাই-এর মতো একাধিক শহরে ‘সবকি রসোই’ কাজ করেছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.