গোবিন্দ রায়: অশান্তি নিয়ন্ত্রণে সেনা ডাকা হবে কি না, সেই সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্যই। সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্বভার রাজ্যের উপরই ছাড়ল কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta High Court)। বহিষ্কৃত বিজেপি নেতা নূপুর শর্মার মন্তব্যকে কেন্দ্র করে বাংলার কিছু প্রান্তে অশান্তির আঁচ ছড়িয়েছিল। সেই অশান্তি নিয়ন্ত্রণে সেনা ডাকা হবে কি না, তা নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে একাধিক মামলা দায়ের হয়। বৃহস্পতিবার সেই মামলায় রায় দিল প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের বেঞ্চ।
অশান্তি নিয়ন্ত্রণে রাজ্যের ভূমিকা সঠিক কি না, সিট গঠন, সেনা ডাকা-সহ একাধিক ইস্যুতে ৫টি মামলা হয়েছিল কলকাতা হাই কোর্টে। বুধবার সেই মামলার শুনানি হলেও রায়দান স্থগিত রাখা হয়েছিল। এদিন রায়দান করল ডিভিশন বেঞ্চ।
জানাল, যে কোনও ধরনের অশান্তি এবং অপ্রীতিকর ঘটনা রোধ করার জন্য রাজ্যকে আগে থেকে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা করতে হবে। বাস্তব পরিস্থিতির মূল্যায়ণ করে রাজ্য যদি মনে করে যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে তাহলে প্রয়োজনে সেনা ডাকতে পারে। অর্থাৎ সেনা ডাকা হবে কি না, সেই সিদ্ধান্ত নেবে একমাত্র রাজ্য সরকারই। একইসঙ্গে বিচারপতির নির্দেশ, সম্পত্তি এবং প্রাণহানি ঠেকাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে রাজ্য। একইসঙ্গে রাজ্য সরকার দ্রুততার সঙ্গে অশান্তির ঘটনার ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করবে।
বুধবারই আদালতে রিপোর্ট পেশ করেছিল রাজ্য। রিপোর্টে জানানো হয়েছিল, হাওড়ার পাঁচটি জায়গায় অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যে ১৭টি এফআইআর হয়েছে। গ্রেপ্তার হয়েছে ৯৯ জন। গ্রামীণ হাওড়া এলাকায় ৯টি FIR হয়েছে। গ্রেপ্তার হয়েছে ৩৮ জন। এছাড়া মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, জঙ্গিপুর, বিধাননগর-সহ বিভিন্ন এলাকায় অশান্তির ঘটনায় এফআইআর দায়ের হয়েছে। গ্রেপ্তার হয়েছে অভিযুক্তরা। একইসঙ্গে রাজ্য জানিয়েছিল, গত ৪৮ ঘণ্টায় কোনও অশান্তির ঘটনা ঘটেনি। সংগৃহীত হয়েছিল ভিডিও ফুটেজও। এর পর এদিন এই রায় দিল কলকাতা হাই কোর্ট।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.