রাহুল রায়: রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে কুরুচিকর আক্রমণের জের। অখিল গিরির বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলার আবেদন। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে মামলা দায়ের ও দ্রুত শুনানির আবেদন। মামলা দায়ের করার অনুমতি দিল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। মামলাকারীর দাবি, অখিল গিরিকে অবিলম্বে মন্ত্রিত্ব পদ থেকে সরাতে হবে। এছাড়া তাঁকে গ্রেপ্তারির নির্দেশ দিক আদালত।
নন্দীগ্রামের (Nandigram) গোকুলনগরে শহিদ স্মরণ মঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার পথে নামে তৃণমূল। ঘটনাস্থল সংলগ্ন এলাকায় প্রতিবাদ সভাও করা হয়। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে অখিল গিরি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) আক্রমণের জবাব দিতে যান। কারণ, অখিল গিরির দাবি দিনকয়েক ধরে শুভেন্দু অধিকারী তাঁকে অপমান করেছেন। কখনও ‘হাফ প্যান্ট পরা মন্ত্রী’, আবার কখনও ‘কাকের মতো দেখতে’ বলে কটাক্ষ করছেন। তাই শুভেন্দুকে তার পালটা জবাব দিতে গিয়ে অখিল গিরি বলেন, “বলে দেখতে ভাল নয়। কী রূপসী? কী দেখতে ভাল? আমরা রূপের বিচার করি না। তোমার রাষ্ট্রপতির চেয়ারকে আমরা সম্মান করি। কিন্তু তোমার রাষ্ট্রপতি কেমন দেখতে বাবা?”
বিজেপি নেতা অমিত মালব্য (Amit Malviya) প্রথম ভিডিওটি টুইট করে অখিল গিরির (Akhil Giri) তীব্র সমালোচনা করেন। তারপর একে একে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ, বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করেন। সৌমিত্র খাঁ জাতীয় মহিলা কমিশনে চিঠি লেখেন। তাঁর দাবি, অখিল গিরি শুধু রাষ্ট্রপতিই নন। গোটা ভারতবাসীকেই অপমান করেছেন। সৌমিত্র খাঁ’র অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অখিল গিরিকে নোটিস পাঠায় জাতীয় মহিলা কমিশন। অখিল গিরির মন্তব্যের প্রতিবাদে নন্দীগ্রাম থানায় এফআইআর দায়েরও করেন এক বিজেপি কর্মী।
যদিও নিজের মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়ে নেন রাজ্যের কারা প্রতিমন্ত্রী তথা রামনগরের বিধায়ক অখিল গিরি। তা সত্ত্বেও রাষ্ট্রপতিকে ‘অপমানজনক’ মন্তব্য ইস্যুর জল গড়াল কলকাতা হাই কোর্টেও। জনস্বার্থ মামলা দায়ের করার অনুমতি দিল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। তার ফলে স্বাভাবিকভাবেই আরও বিপাকে রাজ্যের মন্ত্রী।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.