Advertisement
Advertisement

Breaking News

মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে কলকাতা পুরসভার স্কুলে ৭ বাঙালি মনীষীর ছবি

কলকাতা পুরসভার প্রতিটি স্কুলের দেওয়ালে টাঙানো থাকবে সাত বাঙালি মনীষীর ছবি৷

Pictures of Great bengali legends will be displayed in schools under KMC
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:June 19, 2016 12:21 pm
  • Updated:June 19, 2016 8:51 pm  

সন্দীপ চক্রবর্তী: কলকাতার শিশুদের বাঙালি মনীষার পাঠ দেবে পুরসভা৷ তাই কলকাতা পুরসভার প্রতিটি স্কুলের দেওয়ালে টাঙানো থাকবে সাত বাঙালি মনীষীর ছবি৷

সেই ছবির নিচেই বড় হরফে লেখা থাকবে মনীষীদের সংক্ষিপ্ত জীবনী৷ কোথাও বাংলা, কোথাও ইংরাজী, হিন্দি, উর্দু বা ওড়িয়া ভাষায় সেগুলি লেখা হবে৷ আগামী শিক্ষাবর্ষের আগেই পুরসভার প্রতিটি স্কুলে পাঠানো হবে বাংলার সাত কৃতী সন্তানের ছবি৷ বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ, কাজি নজরুল ইসলাম, স্বামী বিবেকানন্দ, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, মৌলানা আবুল কালাম আজাদ ও দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ৷ আপাতত ঠিক হয়েছে, এই সাত মনীষীর বড় ছবি স্কুলগুলিতে পাঠানো হবে৷ সেগুলি এমন জায়গায় রাখা থাকবে, যেখানে স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা প্রায়শই দেখতে পারবে৷ তাঁদের কর্মকাণ্ড বিষয়ে জানতে পারবে৷ এঁদেরকেই আদর্শ মেনে জীবনকে গড়ে তুলতে পারবে৷ স্কুলগুলিতে এই ছবি থাকবে বাধ্যতামূলক হিসাবে৷ তবে পরবর্তী সময়ে স্কুলের জায়গা বুঝে আরও কিছু মনীষীর ছবি দেওয়া হতে পারে৷ পাশাপাশি এবার থেকেই কলকাতা পুরসভার প্রথম মেয়র চিত্তরঞ্জন দাশের জন্মদিবস পালিত হবে প্রতিটি স্কুলে৷ প্রতি বছর ৫ নভেম্বর স্কুলগুলিতে অনুষ্ঠানও হবে৷

Advertisement

কলকাতা পুরসভার অধীনে এখন মোট পুর-স্কুলের সংখ্যা ২৮০৷ এছাড়াও ১০৪টি শিশু শিক্ষাকেন্দ্রও রয়েছে৷ মোট পুর-স্কুলের মধ্যে বাংলা মাধ্যমের স্কুল ১৫৭৷ হিন্দি মাধ্যমের স্কুল ৪৭, উর্দু মাধ্যম ৫৮, ইংরেজি মাধ্যম ১৭ ও ওড়িয়া মাধ্যম স্কুল রয়েছে একটি৷ শিক্ষা বিভাগের মেয়র পারিষদ অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়কে প্রশ্ন করা হলে বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ও মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে আমরা স্কুলগুলির উন্নয়ন করছি৷ শিশুদের মধ্যে বাঙালি মনীষীদের সম্পর্কে তুলে ধরা হবে৷ দরপত্র দেওয়া হবে শীঘ্রই৷ দেখা হবে, যাতে সঠিক জায়গায় এই ছবিগুলি রাখা থাকে৷” উল্লেখ্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হয়েই মনীষীদের স্মরণ অনুষ্ঠানে জোর দেন৷ এর ফলে বাঙালির মধ্যে জাতীয়তাবোধ আরও জাগ্রত হয়েছে বলে মনে করছে শিক্ষামহল৷ সেদিক থেকে পুরসভার সিদ্ধান্তও গুরুত্বপূর্ণ৷

মনীষীদের ছবি স্কুলে স্কুলে দেওয়ার পিছনে আরও একটি বড় কারণ, তাঁদের জন্মদিবস বা মৃত্যুদিবস পালনের সময় ছবি পেতে যাতে সমস্যা না হয়৷ একইভাবে দরপত্র দিয়েই স্কুলগুলিতে ঘণ্টা, বৈদ্যুতিক বেল, নোটিস বোর্ডও পাঠানো হবে পুরসভার শিক্ষা বিভাগের মাধ্যমে৷ দেওয়াল ঘড়িও পৌঁছে দেওয়া হবে প্রতি স্কুলে৷

পুরসভা সূত্রে খবর, সাত মনীষী সম্পর্কে শিশুরা যাতে সম্যক পরিচিত হতে পারে, সেদিকে লক্ষ্য রাখা হচেছ৷ বিদ্যাসাগরকে পরিচিত করার ক্ষেত্রে সমাজসংস্কারকের পাশাপাশি বর্ণপরিচয়ের প্রণেতা ও দয়ারসাগর হিসাবেও দেখানো হবে৷ তেমনই চিত্তরঞ্জন দাশ যেহেতু কলকাতা পুরসভার প্রথম মেয়র ছিলেন, সে কথাও উল্লেখ থাকবে৷ আবুল কালাম আজাদের সঙ্গে কলকাতার ওতপ্রোত সম্পর্ক রয়েছে৷ তাঁর বাবা ছিলেন বাঙালি মুসলিম৷ দেশের প্রথম শিক্ষামন্ত্রীর জন্ম মক্কায় হলেও দু’বছর বাদে চলে এসেছিলেন কলকাতায়৷ তাঁর জন্মদিবস জাতীয় শিক্ষা দিবস রূপে পালিত হয়৷  এইসব খুঁটিনাটি জানতে পারবে পুর-স্কুলের ছোট পড়ুয়ারা৷

 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement