Advertisement
Advertisement

কুৎসার বিরুদ্ধে মানুষের জয়, সুপ্রিম রায়কে স্বাগত জানিয়ে প্রতিক্রিয়া মমতার

এখনও বিকল্প রাস্তা খোলা রয়েছে, মত বিরোধীদের৷

People’s victory’, Mamata on SC’s Panchayat poll verdict
Published by: Tanujit Das
  • Posted:August 24, 2018 12:53 pm
  • Updated:August 24, 2018 1:07 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত মামলায় সুপ্রিম কোর্টের রায়কে মানুষের জয় বলে মন্তব্য করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ পাশাপাশি একযোগে তোপ দাগলেন তিন বিরোধী সিপিএম, বিজেপি ও কংগ্রেসকে৷ জানালেন, বিরোধীদের করা কুৎসার বিরুদ্ধে রায় দিয়েছে শীর্ষ আদালত৷ জয়ী হয়েছেন রাজ্যের সাধারণ মানুষ৷ এই রায় বিরোধীদের মোক্ষম জবাব বলে জানিয়েছেন রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় এবং তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ তথা এই মামলার আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়৷ পাশাপাশি রায়কে স্বাগত জানালেও ২০১৯-এ আরও কড়া লড়াইয়ের বার্তা দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ৷

[ইউজিসি-র নির্দেশিকা উড়িয়ে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে রমরমিয়ে চলছে জাঙ্ক ফুড]

Advertisement

শুক্রবার রায় ঘোষণা হওয়ার পরে রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় জানান, এক সপ্তাহের মধ্যে বোর্ড গঠনের কাজ শুরু হয়ে যাবে৷ আরও আট থেকে নয়টি পাইলট প্রজেক্টে প্রথম হবে রাজ্য সরকার৷ জানা গিয়েছে রায় ঘোষণার পর ইতিমধ্যেই তৎপর হয়েছে পঞ্চায়েত দপ্তর৷ পাশাপাশি পঞ্চায়েত মন্ত্রী আক্রমণ করেন বিরোধীদেরও৷ বলেন, থোঁতা মুখ ভোঁতা হয়ে গিয়েছে৷ বিরাশি সিক্কার চড় খেয়েছে বিরোধীরা৷ এই মামলা-মোকদ্দমার মাধ্যমে রাজ্যের উন্নয়নের কাজকে বাধা দেওয়া চেষ্টা করেছে বিরোধীরা৷ এমনই অভিযোগ করেছেন পঞ্চায়েত মন্ত্রী৷ শীর্ষ আদালত রাজ্য সরকার ও নির্বাচন কমিশনের সওয়ালকে মান্যতা দেওয়ায় বেজায় খুশি বলে জানিয়েছেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তিনি বলেন, প্রথম থেকে যে যুক্তিতে তিনি লড়াই করে আসছিলেন সেই যুক্তিই মান্যতা পেয়েছে এই রায়ে৷ এই রায় বিরোধীদের চরম হার৷ কেবল বিরোধীদেরই নয়, দলের মধ্যে তাঁর সমালোচকদেরও একহাত নিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসে এই সাংসদ৷ জানান, এই মামলায় তাঁর সওয়াল-জবাব নিয়ে দলের অনেকেই প্রশ্ন তোলে৷ শুক্রবার শীর্ষ আদালতের রায় তাঁদের কাছেও কড়া জবাব বলে জানান কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়৷

সুপ্রিম কোর্টের রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ৷ জানিয়েছেন, শীর্ষ আদালতের রায় শিরধার্য৷ তবে রাজ্য সরকার ও কমিশনের সমালোচনা করতেও পিছপা হননি তিনি৷ বলেন, এখানে যে হিংসা হয়েছে তা আদালত স্বীকার করে নিয়েছে৷ সেজন্যই, ফল ঘোষণার ত্রিশ দিনের মধ্যে নিম্ন আদালতে মামলা করার বিকল্প পথ খোলা রেখেছে শীর্ষ আদালত৷ হুঁশিয়ারির সুরে তিনি বলেন, ২০১৯-এ লোকসভা নির্বাচনে আসল লড়াই হবে৷ তখন বাংলার মানুষ তাঁদের আসল রায় দেবেন৷ এবারের মতোই গেরুয়া শিবির আবার নিম্ন আদালতে যাবে কিনা সেই বিষয়ে এখনও কিছু ভাবা হয়নি বলে জানিয়েছেন দিলীপ ঘোষ৷ রায় প্রসঙ্গে, কার্যত পদ্ম শিবিরের সুরেই সুর মিলিয়েছে বঙ্গ সিপিএমও৷ দলের বিধায়ক তথা বিধানসভার পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, এই রায়ে তৃণমূল কংগ্রেসের উৎসাহের কোনও কারণ হতে পারে না৷ শীর্ষ আদালত এখনও অন্যত্র মামলার রাস্তা খোলা রেখেছে৷ রায়কে স্বাগত জানিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরি বলেন, শীর্ষ আদালত তাঁদের নিয়ম মেনে রায় দিয়েছে৷ কিন্তু ৩৪ শতাংশ আসনে প্রার্থী দিতে পারেননি বিরোধীরা এবং মানুষ ভোটে অংশগ্রহণ করতে পারেননি এটাও সত্য ঘটনা৷

[অটোর দাদাগিরি রুখতে এবার পাঁচ মিনিটে বাস, উল্টোডাঙায় নতুন দাওয়াই]

উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত মামলায় রাজ্যের পক্ষেই রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট৷ কোনও আসনেই ফের ভোট নয়, শুক্রবার তা জানিয়েছে শীর্ষ আদালত৷ প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রর তিন সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চ এই রায় দিয়েছে৷ এদিন শীর্ষ আদালত জানায়, বিনা লড়াইয়ে জেতা আসনগুলির আনুষ্ঠানিক ফল ঘোষণা করতে পারবে রাজ্য নির্বাচন কমিশন৷ পাশাপাশি, এদিন কলকাতা হাই কোর্টের ই-মনোনয়নের নির্দেশও বাতিল করে শীর্ষ আদালত৷ তবে এক্ষেত্রে বিরোধী প্রার্থীদের জন্য একটি পথ খোলা রেখেছে সুপ্রিম কোর্ট৷ আদালত জানাল, ফল ঘোষণার ৩০ দিনের মধ্যে ট্রাইবুনালে বা নিন্ম আদালতে আপিল করতে পারবেন তাঁরা৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement