ফাইল ছবি।
সংবাদ প্রতিদিন ডি়জিটাল ডেস্ক: “দরকার হয় বাড়িতে বসে মরবো, কিন্তু ভিটে ছাড়ব না”, বাড়ি ছাড়ার নোটিস পেয়ে মেট্রো আধিকারিকদের সাফ জানিয়ে দিলেন চৈতন্য সেন লেনের বাসিন্দাদের একাংশ। আতঙ্ক থাকলেও কোনও কিছুর বিনিময়েই ভিটে ছাড়তে রাজি নন তাঁরা। এ প্রসঙ্গে একাধিকবার স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলতে গেলে ক্ষোভের মুখে পড়তে হয় KMCL এর আধিকারিক, চিফ ইঞ্জিনয়র ও বিশেষজ্ঞ জন ইনডিকটকেও।
গত বছরের অগাষ্ট মাসে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর সুড়ঙ্গ খোঁড়ার সময়ই ভয়ংকর বিপর্যয় ঘটেছিল বউবাজার চত্বরে। একের পর এক ভেঙে পড়েছিল শতাব্দী প্রাচীন বাড়ি।
সেই ঘটনার জেরে ঘরছাড়া হতে হয়েছিল একাধিক পরিবারকে। দীর্ঘদিনের ভিটে ছেড়ে তাঁদের আশ্রয় নিতে হয়েছিল হোটেল। সেই পরিস্থিতি সামাল দিয়ে ইতিমধ্যেই ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর আংশিক রুটের সূচনা করা হয়েছে। সমস্ত রকম সাবধানতা অবলম্বন করে নতুন করে শুরু হয়েছে মেট্রোর কাজ। পূর্বের ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার আগে ভাগেই ফাঁকা করে দেওয়া হয়েছে এলাকা। এলাকার বাসিন্দাদের এমব্যাসি, গ্রিন ইনের মতো একাধিক হোটেলে রাখা হয়েছে। কিন্তু সতর্কতা সত্ত্বেও কাজ শুরুর পরই ফের বিপত্তি। জানা গিয়েছে, সুড়ঙ্গ খোঁড়ার শুরু হতেই নতুন করে ফাটল দেখা দিয়েছে চৈতন্য সেন লেনের ৪টি বাড়িতে। খসে পড়েছে একাধিক বাড়ির চাঙড়।
ফাটল নজরে পড়তেই KMRCL কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানান এলাকার বাসিন্দারা। তৎক্ষণাৎ ফাটলগুলি খতিয়ে দেখেন তাঁরা। ফাটলগুলি নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করার জন্য ওই এলাকায় বসানো হয় ক্র্যাক ক্যামেরা। সেই সময় যে ৪টি বাড়িতে নতুন করে ফাটল দেখা গিয়েছে, সেগুলি-সহ বেশ কয়েকটি বাড়ি ফাঁকা করার জন্য নোটিস দেওয়া হয় মেট্রোর তরফে। কিন্তু শতাব্দী প্রাচীন ভিটে ছাড়তে নারাজ ওই বাড়ির বাসিন্দাদের অধিকাংশই। তাঁদের কথায়, “বাড়ি ভেঙে পড়ুক। প্রয়োজনে বাড়ির উপর দিয়ে মেট্রোর কাজ করা হোক। ঘরে বসে মরবো কিন্তু ভিটে ছাড়ব না।” দফায় দফায় মেট্রোর আধিকারিকরা তাঁদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করা সত্ত্বেও কোনও ফল মেলেনি। উলটে বেশ কিছুক্ষণ আধিকারিকদের ঘিরে বিক্ষোভও দেখান স্থানীয়রা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.