অরিজিৎ গুপ্ত: চলতি কা নাম সিনেমা। সাদা-কালোর যে সফরে তিনি সওয়ার হয়েছিলেন ‘হাফ টিকিট’ কেটেই। আর হয়ে উঠেছেন অমর শিল্পী কিশোর কুমার। যাঁর কণ্ঠ কালের নিয়মে হারিয়ে যায়নি, বরং হয়ে উঠেছে মানুষের মনে কথা। সংগীতের যে বিশাল সম্ভার তিনি রেখে গিয়েছেন, তা আজও মানুষের প্রতিটি আবেগের ভাষা জোগায়। প্লে-ব্যাক সংগীতের জগতে যতগুলি ফিল্মফেয়ার তাঁর ঝুলিতে রয়েছে। আজ পর্যন্ত কারও দখলে নেই। এমন শিল্পীকে অবিলম্বে ভারত রত্ন প্রদান করা হোক। এই দাবিতে শিল্পীর জন্মদিনে হাওড়া থেকে কলকাতা থেকে হল মিছিল।
[একই ফ্রেমে বচ্চন পরিবারের তিন প্রজন্ম, দেখুন ছবি]
এদিন হাওড়ার ধর্মতলা থেকে সালকিয়া মেমোরিয়াল কালচারাল অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজিত এই মিছিল শুরু হয়। শেষ হয় কলকাতার ধর্মতলায়। শামিল হন হাওড়া উত্তরের বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী লক্ষ্মীরতন শুক্লা, হাওড়ার পুলিশ কমিশনার দেবেন্দ্রপ্রকাশ সিং-এর মতো ব্যক্তিত্বরা। ছিলেন সংগীতশিল্পী গৌতম চৌধুরি, অভিনেত্রী রূপাঞ্জনা মৈত্রর মতো বিশিষ্টরা। মিছিলে কিশোর কুমারকে ভারতরত্ন প্রদান করার দাবি তোলা হয়। দেওয়া হয় স্লোগানও। গানও করেন লক্ষ্মীরতন শুক্লা।
[জানেন, এ দেশে নিষিদ্ধও হয়েছিলেন কিশোরকুমার?]
দাদা অশোক কুমার চাইতেন ক্যামেরার সামনেই বেশিরভাগ থাকুন কিশোর। কিন্তু তরুণ রক্তে তখন ছিল সুরের চাহিদা। অভিনয়ের চাইতে নেপথ্যের কণ্ঠ দিতেই বেশি আগ্রহী ছিলেন কিশোর। করলেনও তাই। শুধু বাংলা কিংবা হিন্দি নয় মারাঠি, অসমিয়া, গুজরাটি, কন্নড়, ভোজপুরি, ওড়িয়ার মতো ভাষাতেও কণ্ঠ দিয়েছেন তিনি। সংখ্যার বিচারে তা দেড় হাজারেরও বেশি। আর আবেগ, ভালবাসার বিচারে তার চেয়েও অনেক অনেক বেশি। সেই ভালবাসাই পরিণত হয়েছে এই নয়া দাবিতে।
[মুক্তি পেল ‘জব হ্যারি মেট সেজল’, বাজিমাত করতে পারলেন ‘বাজিগর’?]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.