Advertisement
Advertisement

Breaking News

দিলীপ ঘোষ

‘মানুষ ২০২১-এর জন্য অপেক্ষা করছেন’, ফের ভোটের আবহ উসকে মন্তব্য দিলীপ ঘোষের

একাধিক বিষয় নিয়ে এদিন রাজ্য সরকারকে বিঁধলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি।

'People are wating for 2021', Dilip Ghosh's comment escalates election atmosphere
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:June 11, 2020 6:40 pm
  • Updated:June 11, 2020 6:44 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আগামী বিধানসভা ভোটের বাদ্যি বাজিয়ে অমিত শাহর ভারচুয়াল সভা বঙ্গ বিজেপি কর্মীদের শুধু ভোকাল টনিকই দেয়নি, রীতিমত আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে। আজ বিকেলে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের বক্তব্যে তা আরও একবার বোঝা গেল। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বললেন, ”রাজ্যের মানুষ ২০২১এর জন্য অপেক্ষা করছেন। বোঝা যাবে, মানুষ কী চাইছেন।” রাজ্যের শাসকদলের পরিণতি কী হবে, তাও বোঝা যাবে বলে মত তাঁর। পাশাপাশি, এদিন একাধিক বিষয় নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে তোপ দাগলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি।

বিজেপি আগেও রাজ্যের বিরুদ্ধে করোনা তথ্য গোপনের অভিযোগ তুলেছিল। আজ গড়িয়া শ্মশানের ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে ফের সেই অভিযোগে শান দিলেন দিলীপ ঘোষ। গড়িয়ার শ্মশানে চুপিসাড়ে করোনায় মৃতদের সৎকার করা হচ্ছে, এই রটনা নিয়ে অশান্তির প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষের মন্তব্য, ”করোনা আক্রান্ত হয়ে কার মৃত্যু হচ্ছে, কত আক্রান্ত, কতজনের পরীক্ষা করা হচ্ছে – সব প্রকাশ্যে আনা দরকার। আর মৃতদের প্রতি এত অবহেলা কীসের? কেন মৃত্যুর পর একটু সম্মানের সঙ্গে মানুষের শেষকৃত্য হবে না?” এসব নিয়ে তীব্র ক্ষোভ ঝরে পড়ল তাঁর গলায়।

Advertisement

[আরও পড়ুন: পোড়ানো হচ্ছে করোনায় মৃতদের দেহ! গুজবে গড়িয়া মহাশ্মশানে ধুন্ধুমার স্থানীয়দের]

পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরানো নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাতে এদিন আরও একটু ইন্ধন দিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। বললেন, ”মুখ্যমন্ত্রী যখনই পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরানোর জন্য ট্রেন চেয়েছেন, কেন্দ্র সঙ্গে সঙ্গে পাঠিয়েছে। তারপর উনিই এসব নিয়ে একাধিক সমস্যা তৈরি করেছেন। আরও দায়িত্বের সঙ্গে পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরানোর কাজ করা উচিৎ ছিল রাজ্য সরকারের।”

[আরও পড়ুন: নিউটাউনের গেস্ট হাউসে নাবালিকাকে গণধর্ষণ, হাজতে দুই অভিযুক্ত]

আমফান মোকাবিলায় আগেও রাজ্যের ভূমিকার সমালোচনা করেছিলেন তিনি। এদিনও ফের বললেন, ”এখনও অনেক জায়গা বিদ্যুৎহীন। মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ৫ লক্ষ দুর্গতকে ২০ হাজার টাকা করে দেবেন। কোথায় সেই টাকা? কারা পেলেন? নাকি কাটমানিতেই সব বেরিয়ে গেল?” পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের উদ্দেশে তাঁর কটাক্ষ, ”মানুষ এসময়ে পার্থবাবুদের পাশে চাইছে। আমফান বিধ্বস্ত এলাকায় না গিয়ে তাঁরা এখানে বসে ভাষণ দিচ্ছেন!” এদিনের এক সাংবাদিক সম্মেলনে তৃণমূল সরকারকে নানা দিক থেকে আক্রমণের পথে হাঁটলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। বোঝা গেল, শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশে একুশের জন্য কোমর বাঁধছেন তাঁরা।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement