গৌতম ব্রহ্ম: করোনা আবহের মাঝে কলকাতায় বন্ধ হয়ে গেল আরও এক নামী, বেসরকারি হাসপাতাল। বাইপাসের ধারে পিয়ারলেস হাসপাতালে এখন থেকে আর নতুন করে কোনও রোগীকে ভরতি নেওয়া হবে না। জানিয়ে দিলেন পিয়ারলেসের সিইও সুদীপ্ত মিত্র। তবে যাঁরা এই মুহূর্তে চিকিৎসাধীন, তাঁদের চিকিৎসা যেমন চলছিল, তেমনই চলবে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। সম্প্রতি এই হাসপাতালের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী মিলিয়ে মোট ১১ জনের শরীরে COVID-19 জীবাণু মিলেছে। ফলে সংক্রমণ রুখতে নতুন করে রোগী ভরতিতে আপাতত ইতি টানার সিদ্ধান্ত নিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
সময়ের সঙ্গে দাপট বাড়ছে মারণ নোভেল করোনা ভাইরাসের। এ রাজ্যও তার ব্যতিক্রম নয়। গত কয়েকদিনের আক্রান্ত ও মৃত্যুর হারই তার প্রমাণ। করোনার চিকিৎসা করতে গিয়ে আক্রান্ত হচ্ছেন চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীরাও। এবার দক্ষিণ কলকাতার নামী হাসপাতাল পিয়ারলেসেও থাবা বসাল করোনা ভাইরাস। চারজন চিকিৎসক-সহ সেখানকার মোট ১১জন আক্রান্ত করোনায়। ফলে বাড়ছে আতঙ্ক। ঝুঁকি নিতে রাজি নয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও।
পিয়ারলেসের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার সুদীপ্ত মিত্র টেলিফোনে সংবাদ প্রতিদিনকে জানিয়েছেন, “আমাদের মোট ১১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এভাবে পরিষেবা চালানো সম্ভব নয়। রোগীদের মধ্যে আতঙ্ক বাড়ছে। এমনিতে আমরা এই পরিস্থিতিতে ৮ জন করোনা রোগীর চিকিৎসা করার মতো পরিকাঠামো তৈরি করেছিলাম। এখন সেই সংখ্যাটা ২০ জন হয়ে গিয়েছে। ওঁদের তো সর্বত্র রেখে চিকিৎসা করা যায় না। সংক্রমণের ভয় আছে। আমরা আরও ২টি ওয়ার্ড খুলে চিকিৎসা করার কথা ভেবেছি। এই অবস্থায় নতুন করে কাউকে ভরতি নেওয়া হবে না। পুরোন যাঁরা আছেন, তাঁরা সুস্থ হওয়ার পরই এখান থেকে ফিরবেন।”
নতুন রোগী ভরতি বন্ধ থাকলেও খোলা থাকছে জরুরি কয়েকটি বিভাগ। সিইও সুদীপ্ত মিত্র জানিয়েছেন, পিয়ারলেসের ডায়ালিসিস বিভাগটির উপর নির্ভরশীল অনেকেই। তাই সেই বিভাগ চালু থাকবে। এছাড়া প্রসূতি বিভাগও চালু থাকবে। এর আগে করোনা সংক্রমণের আশঙ্কাতেই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগ, মেল ও ফিমেল মেডিসিন বিভাগ। সেই পথ অনুসরণ করল পিয়ারলেস হাসপাতালও। কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে আপাতত পিয়ারলেসের রাস্তা তাঁর জন্য বন্ধ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.