সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সময়মতো চিকিৎসা না হওয়ায় মৃত্যু হল এক কিশোরের। এই অভিযোগে তুলকালাম কাণ্ড জোকার ইএসআই হাসপাতালে। যথেচ্ছভাবে ভাঙচুর হয় আইসিইউ। তছনছ করে দেওয়া হয় জরুরি বিভাগ। রোগীর পরিবারের এই তাণ্ডবের জেরে আইসিইউতে থাকা রোগীরা বিপদে পড়েন।
[রোগীমৃত্যু ঘিরে বিক্ষোভ, ভাঙচুর বাঙুর হাসপাতালে]
গত শুক্রবার ইএসআই হাসপাতালে তারাতলার বাসিন্দা বিবেক সরকারকে নিয়ে যায় তার পরিবার। জ্বর হয়েছিল ওই কিশোরের। ওষুধ দেওয়ার পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। শনিবার ফের তাকে নিয়ে যাওয়া হয় ওই হাসপাতালে। সেদিনও একই ঘটনা ঘটে। রবিবার সকালে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় বিবেককে ফের নিয়ে যাওয়া হয় ইএসআই হাসপাতালে। ওই কিশোরের তখন জ্বর ও প্রবল শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল। পরিবারের অভিযোগ, দীর্ঘক্ষণ তার কোনও চিকিৎসা হয়নি। এরপর আইসিইউতে নিয়ে যাওয়ার পর ওই কিশোরের মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় রোগীর পরিবার উত্তেজিত হয়ে পড়ে। চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ তুলে আইসিইউতে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। তছনছ করে দেওয়া হয় আইসিইউর ভেন্টিলেটর এবং মনিটর। তাদের তাণ্ডবের হাত থেকে রেহাই পায়নি জরুরি বিভাগও। এর্মাজেন্সিতে থাকা ওষুধের ব়্যাক, স্যলাইনের বোতল ছুড়ে ফেলা হয়। ভেঙে ফেলা হয় ফ্রিজ। সাতসকালে মৃতের পরিবারের এই মারমুখী মেজাজে সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েন স্বাস্থ্যকর্মী এবং হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগীরা। প্রাণভয়ে কয়েকজন রোগী হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান। এই ঘটনার হাসপাতালের পরিষেবা বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। আইসিইউর এসি অকেজো হয়ে পড়ায় টেবিল ফ্যান দিয়ে কোনওরকমে অন্য রোগীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। মৃতের মায়ের দাবি, তাঁর সন্তানের কোনওরকম চিকিৎসা করানো হয়নি। শুরুর দিন থেকেই জ্বরের ওষুধ দিয়ে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। ঠাকুরপুকুর থানার পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে অবহেলার কথা মানতে চায়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
[ফের জাতীয় স্তরে রাজ্যের স্বীকৃতি, ৯টি প্রকল্প জিতল পুরস্কার]
এদিকে চিকিৎসা গাফিলতির অভিযোগে রোগীমৃত্যুতে উত্তেজনা চন্দ্রকোণা গ্রামীণ হাসপাতালে। চন্দ্রকোণার পলাশিয়ার বাসিন্দা এক বধূ প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে গত সপ্তাহে ওই হাসপাতালে ভর্তি হতে যান। রাস্তাতে তিনি সন্তান প্রসব করেন। মৃতের পরিবারের বক্তব্য, হাসপাতালে ভর্তি করার পর মা ও শিশু সুস্থ ছিল। এরপর বন্ধ্যাত্বকরণ অপারেশন করাতে গিয়ে ওই মহিলার মৃত্যু হয়। এমনকী এই অপারেশনের বিষয়ে তাদের সঙ্গে ডাক্তার কোনওরকম আলোচনা করেননি বলেও অভিযোগ করেছে মৃতের পরিবার।
ছবি – প্রতীকী
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.