মণিশংকর চৌধুরি: ট্রলি না পেয়ে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের এক কর্মীকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দিলেন রোগীর পরিজনেরা। পালটা মারধরের অভিযোগ উঠেছে হাসপাতালে কর্মীদের বিরুদ্ধেও। ধুন্ধুমার এসএসকেএম হাসপাতালে। ঘটনায় দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রোগীর নাম নারায়ণচন্দ্র বাগচি। বাড়ি, হাওড়ায়। বৃহস্পতিবার সকালে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় নারায়ণবাবুকে আনা হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। পরিবারের লোকেদের অভিযোগ, রোগীকে নিয়ে যখন তাঁরা হাসপাতালে পৌঁছন, তখন জরুরি বিভাগে পর্যাপ্ত সংখ্যায় ট্রলি ছিল না। স্রেফ ট্রলির অভাবে গাড়ি থেকে নামিয়ে নারায়ণচন্দ্র বাগচিকে জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া যাচ্ছিল না। আর তাতেই পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। এসএসকেএমের জরুরি বিভাগের কর্মীদের দাবি, ট্রলি দিতে দেরি হওয়ার কারণে তাঁদের এক সহকর্মীকে বেধড়ক মারধর করছেন নারায়ণচন্দ্র বাগচির পরিবারের লোকেরা। মারের চোটে তাঁর মাথা ফেটে গিয়েছে। এদিকে আবার ওই রোগীকে যখন এসএসকেএম হাসপাতালে আনা হয়, ততক্ষণে তিনি মারা গিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। এদিকে জরুরি বিভাগের কর্মীকে মারধরের খবর পেয়ে এসএসকেএম হাসপাতালে যায় ভবানীপুর থানার পুলিশ। ওই রোগীকে অন্য হাসপাতালে স্থানান্তরের ব্যবস্থা করা হয়। ঘটনায় রোগীর পরিবারের দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
কয়েক মাস আগে এনআরএস হাসপাতালে রোগীমৃত্যুর ঘটনায় এক জুনিয়র ডাক্তারকে বেধড়ক মারধর করেছিলেন তাঁর পরিবারের লোকেরা। ঘটনার তোলপাড় হয় গোটা রাজ্যে। দোষীদের শাস্তি ও নিরাপত্তার দাবিতে রাজ্যজুড়ে কর্মবিরতি শুরু করেন জুনিয়র ডাক্তাররা। স্বাস্থ্যক্ষেত্রে অচলাবস্থা চলে বেশ কয়েকদিন। বিনা চিকিৎসায় প্রাণহানির ঘটনাও ঘটে। শেষপর্যন্ত নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার পর কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে নেন জুনিয়র ডাক্তাররা। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের শহরের হাসপাতালে আক্রান্ত হলেন স্বাস্থ্যকর্মীরা।
দেখুন ভিডিও:
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.