ফাইল ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফাটলের জেরে বিপজ্জনক চিহ্নিত হওয়ায় সরিয়ে দেওয়া হল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের প্রসূতি বিভাগের বেশ কিছু রোগীকে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ওই ভবনে থাকা এটিএম। বিষয়টি জানতে পেরেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন রোগী ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা। যে কোনও মুহূর্তে বড়়সড় বিপদের আশঙ্কা করছেন তাঁরা। যদিও হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, বিপজ্জনক অংশ থেকে নিরাপদে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে রোগীদের।
মাস সাতেক আগেই মেডিক্যাল কলেজের এমসিএইচ বিল্ডিংয়ে ফাটল দেখা গিয়েছিল। সে সময় কোনওরকমে চুনকাম করে ঢাকা দেওয়া গিয়েছিল। সপ্তাহ খানেক আগে ফের চওড়া ফাটল দেখা দেয় কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের শতাব্দী প্রাচীন প্রসূতি বিভাগের ভবনটি। যেখানে ভরতি প্রায় তিনশো রোগী। ওই বিল্ডিংয়েই রয়েছে আইসিসিইউ, এইচডিইউ, হেমাটোলজি, কার্ডিওলজি, মেডিসিন, পেডিয়াট্রিক এইচআইভি সেন্টার। প্রতিদিনই সেখানে আসেন কয়েকশো রোগী। বিল্ডিংয়ের ভগ্নপ্রায় দশার কথা প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই আতঙ্ক ছড়িয়েছিল তাঁদের মধ্যে। মঙ্গলবার রোগীদের সরিয়ে দেওয়ায় আতঙ্ক বাড়ল কয়েকগুন। যাঁরা রয়ে গেলেন ওই ভবনে প্রতিমুহূর্তে রীতিমতো মৃত্যুভয় তাড়া করছে তাঁদের। যদিও হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, বিপজ্জনক অংশ অর্থাৎ দেওয়ালের পাশ থেকে রোগীদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। দ্রুতই ভবনটি মেরামতি করা হবে।
কিন্তু কেন এত বড় ফাটল? এমসিএইচ বিল্ডিংয়ের পাশেই ক্যানসার রোগীদের জন্য তৈরি হচ্ছে দশতলা ভবন। সেই ভবনের দু’টি তল থাকবে মাটির নিচে। সেই কারণেই প্রায় চল্লিশ ফুট গভীর একটি গর্ত খোঁড়া হয়েছে। পোঁতা হয়েছে সত্তরটি স্তম্ভ। সেই পাইলিংয়ের কাজের জন্যই বিস্তর খোঁড়াখুঁড়ি করা হয়েছে। মনে করা হচ্ছে সেই কাজের সময় ব্যাপক কম্পনেই এই ফাটল দেখা দিয়েছে বলে মনে করছে মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। রোগীর পরিবারের দাবি, এমসিএইচ বিল্ডিংয়ের বাইরের যা অবস্থা তার থেকে ভিতরের অবস্থা আরও খারাপ। হাসপাতালের কর্মচারীরা জানিয়েছেন, ফাটলের চোটে ভবন ক্রমশ মাঝখান থেকে আলাদা হয়ে যাচ্ছে। বড় বড় লোহার খুঁটি দিয়ে সাপোর্ট দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাতেও কোনও লাভ হয়নি। এখানেই প্রশ্ন উঠছে হাসপাতালের মতো জায়গা, যেখানে প্রতিদিন অগনিত মানুষের সমাগম, সেখানে আগেই কেন স্থায়ীভাবে ফাটল মেরামতের ব্যবস্থা করা হল না? তবে দ্রুতই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.