সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হাসপাতালের আউটডোরে সামনে রোগীদের লম্বা লাইন। লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতেই অসুস্থ হয়ে পড়লেন বছর পঞ্চান্নের এক প্রৌঢ়া। শেষপর্যন্ত মারাও গেলেন তিনি। সোমবার সকালে উত্তেজনা ছড়াল কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে। তবে দেহের ময়নাতদন্ত করাতে রাজি হননি মৃতের পরিবারের লোকেরা। ঘটনার পর মৃতদেহ নিয়ে হাসপাতালে থেকে চলে যান তাঁরা।
[শিশুচোর সন্দেহে শহরে ফের গণপিটুনি, আক্রান্ত মানসিক ভারসাম্যহীন]
মৃতের নাম নন্দরাণী দণ্ডপাঠ। বাড়ি, পশ্চিম মেদিনীপুরের রামজীবনপুরে। পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরেই কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন নন্দরাণীদেবী। এসএসকেএম হাসপাতালে নেফ্রোলজি বিভাগের আউটডোরে চিকিৎসা করাচ্ছিলেন তিনি। সোমবার সকালে যখন ওই প্রৌঢ়া হাসপাতালে পৌঁছান, ততক্ষণে নেফ্রোলজি বিভাগের আউটডোরে সামনে রোগীদের লম্বা লাইন পড়ে গিয়েছে। লাইনে দাঁড়িয়ে পড়েন ওই নন্দরাণীদেবীও। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বেশ কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পর আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই প্রৌঢ়া। রীতিমতো ছটফট করছিলেন তিনি। তড়িঘড়ি তাঁকে হাসপাতালে জরুরি বিভাগে নিয়ে যান অন্য রোগীর পরিজনরাই। কিন্তু, শেষরক্ষা হয়নি। নন্দরাণী দণ্ডপাঠকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। ঘটনার জেরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এসএসকেএম হাসপাতালে চত্বরে। শেষপর্যন্ত ময়নাতদন্ত না করিয়েই মৃতদেহ নিয়ে চলে যান পরিবারের লোকেরা।
এ রাজ্যে সেরা সরকারি হাসপাতাল এসএসকেএম। সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালও বটে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে রোগীরা আসেন হাসপাতালে। সকলেই যে ভরতি হন, এমনটা নয়। বিভিন্ন বিভাগের আউটডোরেও চিকিৎসকদের পরামর্শ নেন অনেকেই। ফলে রোজই আউটডোরের সামনে লম্বা লাইন পড়ে যায়। দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকাটা বয়স্ক রোগীদের পক্ষে বেশ কষ্টকর। রোগীদের হয়রানি কমাতে সম্প্রতি ই-টিকিট চালু করেছে এসএসকেএম কর্তৃপক্ষ।
[ ফাল্গুনে মুখভার আকাশের, সোমবার থেকে তিনদিন শহরে ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.