Advertisement
Advertisement

Breaking News

SSKM

ফের রেফার রোগের বলি! মমতার দপ্তরের চিঠি থাকা সত্ত্বেও SSKM-এ ‘গাফিলতি’তে রোগীমৃত্যু

সোমবার রাতে ওই রোগীকে রেফার করা হয়েছিল পিজিতে। কিন্তু সেখানে ভর্তি নেওয়া হয়নি। উলটে ফের পাঠিয়ে দেওয়া হয় নীলরতন সরকার মেডিক্যালে। রাতেই আবার পাঠানো হয় পিজিতে। কিন্তু মেলেনি বেড, এমনকী নূন্যতম চিকিৎসাও।

Patient death at SSKM Hospital sparks negligence row

ফাইল ছবি।

Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:November 5, 2024 3:22 pm
  • Updated:November 5, 2024 4:20 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রেফার ‘রোগ’ বন্ধ করতে সেন্ট্রাল রেফারেল সিস্টেম চালুর দাবিতে সরব হয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। দাবি পূরণে পদক্ষেপও করেছে রাজ্য। এই পরিস্থিতিতেও রেফার রোগের বলি আরও একজন। সোমবার রাতে ওই রোগীকে এনআরএস থেকে রেফার করা হয়েছিল এসএসকেএমে। কিন্তু সেখানে ভর্তি নেওয়া হয়নি। উলটে ফের পাঠিয়ে দেওয়া হয় নীলরতন সরকার মেডিক্যালে। রাতেই আবার পাঠানো হয় এসএসকেএমে। কিন্তু মেলেনি চিকিৎসাও। মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরের সুপারিশ পত্র হাতে পেয়ে রোগীকে এমার্জেন্সিতে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তির নাম সুশীল হালদার। তিনি গড়িয়ার বাসিন্দা। সোমবার আচমকা তাঁর নাক-মুখ থেকে শুরু হয় রক্তক্ষরণ। তড়িঘড়ি তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় এনআরএস মেডিক্যালে। কিন্তু সেখানে তাঁকে ভর্তি নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। রেফার করে দেওয়া হয় এসএকেএমে। কিন্তু সেখানে ছুটে গিয়েও কাজ হয়নি। ফের ওই রোগীকে পাঠানো হয় এনআরএস-এ। গভীর রাতে আবার ওই রোগীকে পিজি অর্থাৎ এসএসকেএম হাসপাতালে রেফার করা হয়। কিন্তু বেড না থাকায় তাঁকে ভর্তি নেওয়া হয়নি বলেই অভিযোগ। মেলেনি নূন্যতম চিকিৎসাও।

Advertisement

উপায় না দেখে রোগীকে সঙ্গে নিয়েই পরিবারের সদস্যরা মঙ্গলবার সাতসকালে কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির অফিসে হাজির হন। বিষয়টি জানামাত্রই তৎক্ষণাৎ মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর থেকে ভর্তির সুপারিশ পত্র দেওয়া হয়। সেই চিঠি নিয়ে রোগীর পরিবার ফের আসেন পিজি হাসপাতালে। এর পর রোগীকে নিয়ে যাওয়া হয় এমার্জেন্সিতে। কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি। চিকিৎসকরা জানান, সুশীল বাবুর মৃত্যু হয়েছে। এই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই ফের প্রশ্নের মুখে পড়েছে হাসপাতালগুলোর ব্যবস্থাপনা। ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন রোগীর পরিবারের সদস্যরা। এ বিষয়ে চিকিৎসক সুর্বণ গোস্বামী বলেন, “দিনের পর দিন এই ঘটনা ঘটছে। এই সব সমস্যা দূর করতেই জুনিয়র চিকিৎসকরা বারবার সরব হয়েছেন।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement