ফাইল ছবি।
সুব্রত বিশ্বাস: কথা ছিল, জুলাইয়ের পয়লা থেকে শিয়ালদহ ডিভিশনের সমস্ত যাত্রীবাহী ট্রেন ১২ বগির হয়ে যাবে। কিন্তু সেকথা রাখেনি রেল! সোমবারও শিয়ালদহ ডিভিশনে ৯ কামরা নিয়েই ছুটল লোকাল ট্রেন। আর তাতে বিক্ষুব্ধ যাত্রীরা। শিয়ালদহে পৌঁছেই ক্ষোভে (Agitation) ফেটে পড়লেন তাঁরা। এনিয়ে শিয়ালদহ ডিভিশন জানিয়েছে, সোমবার ১১০টি রেকের মধ্যে ৩৮টি ছিল ন’বগির। সেগুলিকে ১২ বগি করা হয়েছে। দু-একটির কাজ অপূর্ণ, তাই ট্রেনগুলি চালাতে বেশ খানিকটা সময় লাগবে বলে স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে।
সপ্তাহের প্রথম দিন কৃষ্ণনগর-শিয়ালদহ (৩১৮২০) ডাউন লোকাল ছিল ন’কামরার। অফিসের ব্যস্ত সময়ে সেই অসহনীয় যন্ত্রণা নিয়ে শিয়ালদহ (Sealdah) পৌঁছে ক্ষোভ উগরে দিলেন ওই ট্রেনের যাত্রীরা। ৩১২২০ ট্রেনটিও এদিন সকালে আসে ৯ কামরা নিয়ে। ক্ষুব্ধ যাত্রীদের অভিযোগ, ছোট রেকগুলি নৈহাটি-ব্যান্ডেলের মধ্যে চালানোর কথা ছিল। অথচ সেই শাখায় ১২ বগির ট্রেন দিয়ে, মেন শাখায় ৯ বগির ট্রেন চালাচ্ছে রেল! যে শাখায় ১২ বগির ট্রেন বেশি দরকার, সেখানে ৯ বগির ট্রেন কেন চালানো হচ্ছে? কেন যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যে এতটা উদাসীন রেল (Indian Railways)? এসব প্রশ্ন তুলেছেন যাত্রীরা।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি শিয়ালদহে সব বারো বগির ট্রেন (Local train) চালুর জন্য যে কাজ হয়েছে। তা দীর্ঘদিনের পরিকল্পনার মধ্যে থাকলেও সমস্যা এড়াতে বিগত দিনে দায়িত্বে থাকা চার ডিআরএম (DRM) কাজ শুরু করার নির্দেশ দেয়নি। বর্তমানের ডিআরএম দীপক নিগম, যাত্রী সমস্যার দিকে তাকিয়ে নির্দেশ দিয়েছিলেন, মাটি কাটাটা শুরু করা হোক, পরিস্থিতি সামলে নেব, জনস্বার্থের কাজের দরকার বলে তিনি এ কাজের নির্দেশ দিয়ে ছিলেন। পরিস্থিতি সামলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করে, ট্রেন চালু করে দেওয়ায় প্রশংসা পেয়েছেন। পরিসমাপ্তির পর ট্রেন চালুতে সমস্যা হবে না বলে জানিয়েছে শিয়ালদহ ডিভিশন। এদিকে, শিয়ালদহ দক্ষিণের মগরাহাট স্টেশনে কোনও শেড না থাকায় এদিন বৃষ্টিতে ভিজতে হয় যাত্রীদের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.