ছবি: প্রতীকী
অর্ণব আইচ: ধোপে টিকল না অসুস্থতার তত্ত্ব। ফের জেল হেফাজতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, এসপি সিনহা, অশোক সাহা, সুবীরেশ ভট্টাচার্য-সহ ছ’জনের। আগামী ২৮ অক্টোবর ফের আদালতে পেশ করা হবে তাঁদের।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বুধবার রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, এসপি সিনহা, অশোক সাহা-সহ ছ’জনকে ভারচুয়ালি আলিপুর আদালতে পেশ করা হয়। প্রথম থেকেই জামিনের বিরোধিতা করেন সিবিআইয়ের আইনজীবী। তাঁর দাবি, এটি একটি বৃহত্তর ষড়যন্ত্র। তাই অভিযুক্তদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সকলে যে যার নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করে বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত। আগে থেকে অপরাধের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। কীভাবে বাঁচতে হবে সে রাস্তাও তৈরি হয়েছিল। নিয়োগ দুর্নীতিতে যাদের তলব করেছে সিবিআই তাদের থেকে নানা তথ্য জোগাড় করার চেষ্টা করেছে। তাদের সঙ্গে কথাবার্তা বলার পর তথ্যপ্রমাণ লোপাটও করা হয়েছে। তাই অভিযুক্তদের জেলবন্দি থাকাই ভাল।
তবে ভারচুয়াল শুনানিতে নিজের জামিনের আবেদন জানান পার্থ চট্টোপাধ্যায়। প্রয়োজন হলে গৃহবন্দি থাকার নির্দেশ দেওয়ার দাবিও জানিয়েছেন তিনি। আইনজীবী জানান, তাঁর মক্কেল টাইপ টু ডায়াবেটিস, হৃদরোগে ভুগছেন। তাই তাঁর স্বাস্থ্যের দিকে বিশেষ নজর রাখার আরজিও জানানো হয়। আরেক ধৃত এসপি সিনহার আইনজীবীও সিবিআইয়ের তীব্র বিরোধিতা করেছেন। তাঁর যুক্তি, জেলে গিয়ে জেরা করেছে। তদন্তে সাহায্য করেননি আমার মক্কেল (এসপি সিনহা) তেমন অভিযোগ ওঠেনি। চার্জশিটের পর সিবিআইয়ের দাবি, সাক্ষীদের প্রভাবিত করার চেষ্টা হচ্ছে। জেলে থাকলে কীভাবে প্রভাবিত করবেন তিনি? সিবিআইয়ের পেশ করা চার্জশিটে থাকা সমস্ত তথ্য সঠিক নয় বলেই দাবি করেছেন কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়। সিবিআই ঠিক কী চায় তা বুঝতেই পারছেন না বলেই দাবি অশোক সাহার। তবে প্রথম থেকে শুনানির শেষ পর্যন্ত বারবার জামিনের বিরোধিতা করে সিবিআই।
উল্লেখ্য, গত জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে গ্রেপ্তার হন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। নিয়োগ দু্র্নীতি মামলায় রাতভর জেরার পর তাঁকে গ্রেপ্তার করে ইডি। পার্থ ‘ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিজাত এলাকার দু’টি ফ্ল্যাট থেকে নগদ প্রায় ৫০ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়। এছাড়াও গয়নাগাটি, বিদেশি মুদ্রাও পাওয়া গিয়েছিল। পাশাপাশি নামে, বেনামে প্রায় পাহাড় প্রমাণ সম্পত্তির খোঁজ মিলেছে। অর্পিতার দাবি, ওই টাকা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। যদিও সে দাবি কার্যত খারিজ করেছেন প্রাক্তন মন্ত্রী। ঘুষের টাকাতেই কি ওই সম্পত্তির মালিক পার্থ-অর্পিতা, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.