সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত অভিযোগে ইডির হেফাজতে মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি। এই পরিস্থিতিতে ইস্তফা দেবেন কি পার্থ চট্টোপাধ্যায়? এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে সব মহলে। বুধবার সাংবাদিকরা এই প্রশ্ন করতেই পার্থ চট্টোপাধ্যায় সপাটে প্রশ্ন ছুড়লেন, “কারণ কী?”। জবাবের ভঙ্গিতে বুঝিয়ে দিয়ে ইস্তফা দেওয়ার মতো কোনও কারণ নেই।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ১০ দিনের ইডি হেফাজতে তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা। আজ, বুধবার তাঁদের জেরার দ্বিতীয় দিন। এখনও পর্যন্ত মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা না হলেও গতকাল দু’জনকে আলাদা করে ম্যারাথন জেরা করেছেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকরা। সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির বিল্ডিংয়ের সাততলার অস্থায়ী লকআপে রয়েছেন পার্থ। যেখানে রয়েছে একটি পাখা, একটি বিছানা এবং কাঠের একটি চেয়ার। কোনও অ্যাটাচ বাথরুম নেই। শৌচালয়ে যেতে হলে ডাক দিতে হচ্ছে নিরাপত্তারক্ষীদের।
ইডি হেফাজতে থাকাকালীন বুধবার সকালে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে শারীরিক পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় জোকার ইএসআই হাসপাতালে। সেখানে প্রবেশের সময় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, “মন্ত্রিত্ব ছাড়বেন কি?” পালটা পার্থ চট্টোপাধ্যায় প্রশ্ন ছুঁড়লেন, ‘কারণ কী’? শিল্পমন্ত্রীর এই আচরণে হতবাক ওয়াকিবহল মহল। ঘণ্টাদুয়েক পর শারীরিক পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে হাসপাতাল থেকে বের হন তিনি। সেই সময় ফের সাংবাদিকরা তাঁকে একাধিক প্রশ্ন করলেও তিনি মুখ খোলেননি।
প্রসঙ্গত, পার্থ চট্টোপাধ্যায় ইস্তফা দেওয়াক কারণ দেখতে না পেলেও তৃণমূল তাঁর সঙ্গে দূরত্ব বাড়িয়েছে তা স্পষ্ট। কারণ, তৃণমূলের মুখপত্র ‘জাগো বাংলা’য় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে আর মন্ত্রী বা তৃণমূলের মহাসচিব বলে উল্লেখ করা হচ্ছে না। পার্থর বিষয়ে শুধু মাত্র নাম ব্যবহার করা হচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.