দীপঙ্কর মণ্ডল: মঙ্গলবারের পর বুধবারও ফাঁস মাধ্যমিকের প্রশ্নপত্র। আর তারপরই কড়া পদক্ষেপ রাজ্যের শিক্ষাদপ্তরের। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়ে দিলেন, এবার পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল নিয়ে ঢুকলেই সেই পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা বাতিল করে দেওয়া হবে।
মাধ্যমিকের প্রথম দিন সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার কথা মেনে নিয়েছিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। দ্বিতীয় দিন ওই একই সময়ে, অর্থাৎ পরীক্ষা শুরু হওয়ার আধ ঘণ্টার মধ্যেই ইংরাজি ভাষার প্রশ্নপত্র ছড়িয়ে পড়ে মেজেসিং অ্যাপে। আসল প্রশ্নপত্রই ফাঁস হয়েছে কিনা, প্রথমে তা নিয়ে ধোঁয়াশা ছিল। তবে বিকেল ৩টেয় পরীক্ষা শেষ হতেই বোঝা যায়, ফাঁস হওয়া প্রশ্নেই পরীক্ষা দিল পরীক্ষার্থীরা। স্বাভাবিকভাবেই তীব্র সমালোচনার মুখে পড়তে হচ্ছে পর্ষদকে। পরীক্ষা ব্যবস্থার নিরাপত্তা বড়সড় প্রশ্নচিহ্নের মুখে পড়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়কে তলব করেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বিকাশ ভবনে পর্ষদ সভাপতির সঙ্গে কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী। দুদিনের ঘটনায় একটি প্রাথমিক রিপোর্ট তৈরি করেছেন পর্ষদ সভাপতি বলে সূত্রের খবর। সেই রিপোর্ট আজ জমা পড়েছে শিক্ষা দপ্তরে। প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় পর্ষদ সভাপতিকে তীব্র ভর্ৎসনা করেন শিক্ষামন্ত্রী বলেও জানা গিয়েছে।
মাধ্যমিকের পর পর দু’দিন পরীক্ষা চলাকালীন হোয়াটসঅ্যাপে প্রশ্ন বাইরে আসার কথা স্বীকার করে নেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে পর্সষদ সভাপতিকে নির্দেশ দিলেন, শিক্ষা দপ্তরের অনুমতি না নিয়ে আর সাংবাদিক বৈঠক করা যাবে না। ক্ষুব্ধ শিক্ষামন্ত্রী এও জানিয়ে দেন, এরপর থেকে পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল ধরা পড়লে সেই ছাত্র-ছাত্রীরা আর পরীক্ষা দিতে পারবে না। উল্লেখ্যে, মালদহের বৈষ্ণবনগর এবং কালিয়াচকের স্কুল থেকে পরীক্ষা চলাকালীন অত্যন্ত ৩১টি মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে। ভবিষ্যতে আর যাতে প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা না ঘটে, সে কারণেই এবার কড়া পদক্ষেপ শিক্ষাদপ্তরের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.