অর্ণব আইচ: ফের পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মুখে তৃণমূলের জয়গান। আলিপুর আদালতে পেশের সময় ফের মুখ খুললেন শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী। বিজেপির ডিসেম্বর হুঁশিয়ারি নিয়ে প্রশ্নের জবাবে পার্থ বলেন, “তৃণমূলের কেউ ক্ষতি করতে পারবে না।”
জেল হেফাজত শেষে সোমবার রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়-সহ সাতজনকে আলিপুর আদালতে তোলা হয়। নীল পাঞ্জাবি এবং জহর কোর্ট পরে আদালত চত্বরে পৌঁছন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। আদালতে ঢোকার সময় পার্থকে উদ্দেশ্য করে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, ডিসেম্বর নিয়ে হুঁশিয়ারি দিচ্ছে বিজেপি। তৃণমূলের কেউ ক্ষতি করতে পারবে? হেঁটে আদালতে ঢোকার সময় হাত নেড়ে পার্থ বলেন, “তৃণমূলের কেউ ক্ষতি করতে পারবে না।”
গত জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার হন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ইডি’র জালে ধরা পড়েন পার্থ ‘ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। তাঁর দু’টি ফ্ল্যাট থেকে নগদ প্রায় ৫০ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করেন তদন্তকারীরা। এছাড়া প্রচুর সোনার গয়নাগাটিও বাজেয়াপ্ত করা হয়। এত বিপুল সম্পত্তি মালিক কীভাবে হলেন অর্পিতা, সেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। যদিও অর্পিতা দাবি করেন, তাঁর ফ্ল্যাট দু’টি ‘মিনি ব্যাংক’ হিসাবে কাজে লাগাতেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
গ্রেপ্তারির পরই পার্থর পাশ থেকে কার্যত সরে গিয়েছে শাসকদল তৃণমূল। দলের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। মন্ত্রিত্ব এমনকী তৃণমূলের সমস্ত পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয় তাঁকে। জেলে থাকলেও এখনও দলের পাশে পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এর আগেও তাঁর গলায় শোনা গিয়েছে তৃণমূলের জয়গান। এবারও সেই একই আত্মবিশ্বাসের সুর পার্থর গলায়। যদিও তৃণমূল নেতৃত্ব তাঁর মন্তব্যকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে নারাজ। তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, “তৃণমূলের যে কেউ ক্ষতি করতে পারবে না, সেটা পাহাড় থেকে সাগর সবাই জানে। মানুষ নিবিড়ভাবে দলের সঙ্গে রয়েছেন। বিরোধীদের কুৎসায় কেউ কান দিচ্ছে না। কোন ব্যাক্তি কী বললেন তাতে আলাদা করে মন্তব্য করার কিছু নেই। কেউ কেউ বিচ্যুত হয়েছিলেন বলেই মন্ত্রিসভা থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তিনি কী বলছেন সেটা তাঁর ব্যাপার।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.