অর্ণব আইচ: নিয়োগের ক্ষমতা স্কুল কর্তৃপক্ষর কাছ থেকে ‘কেড়ে নিয়ে’ নিজেদের হাতে নিয়ে এসেছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়রা। তার জন্য এসএসসির পক্ষ থেকে বিজ্ঞাপনও দেওয়া হয়েছিল বলে দাবি সিবিআইয়ের। নিয়োগ দুর্নীতির এই পদ্ধতি সোমবার আলিপুরে বিশেষ সিবিআই আদালতে তুলে ধরে সিবিআই। এই ব্যাপারেই আরও তথ্য পেতে মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদের সচিব, স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান ও শিক্ষা দপ্তরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারিকে চিঠি দিল সিবিআই।
সিবিআইয়ের সূত্র জানিয়েছে, ২০১৬ সালে এসএসসির পক্ষ থেকে শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মী নিয়োগের জন্য বিজ্ঞাপন দিয়ে জানানো হয় যে, স্কুলের পক্ষ থেকেই নিয়োগপত্র দেওয়া হবে। কোন কোন জোনে কতগুলি পদ খালি রয়েছে, তাও জানিয়ে দেওয়া হয়। সেইমতো পরের বছর, ২০১৭ সালেই পরীক্ষা নেওয়া হয়। কিন্তু ফলাফল বের হওয়ার আগেই ২০১৮ সালে ফের এসএসসি বিজ্ঞাপন দেয়। তাতে জানানো হয়, স্কুলে নিয়োগ প্রক্রিয়ার দায়িত্ব থাকছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের হাতে। পর্ষদের পক্ষ থেকেই নিয়োগপত্র দেওয়া হবে। একই সময় পর্ষদের বিশেষ কমিটিও তৈরি করা হয়, যার মাথার উপর ছিলেন কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়।
তিনটি দপ্তরকে চিঠি দিয়ে সিবিআই জানতে চাইছে, ওই সময় হঠাৎ কেন বিজ্ঞাপন দিয়ে নতুন কমিটি তৈরি করা হল? কেনই বা কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়োগের ক্ষমতা নিজেদের হাতে রাখল পর্ষদ? এই ব্যাপারে কোনও বৈঠক হয় কি না, কোন প্রক্রিয়ায় এই কমিটি তৈরি করা হয়েছিল, কোনও বিজ্ঞপ্তি দেওয়া থাকলে তাতে কার সই ছিল, এই ব্যাপারেই দপ্তরগুলির কাছে সিবিআই বিভিন্ন তথ্য জানতে চাইছে। সিবিআইয়ের দাবি, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় ও অন্য এসএসসি কর্তারা শুধু নিয়োগের ক্ষমতা নিজেদের হাতে রাখার জন্য এই নিয়ম পালটান। ভুয়ো নিয়োগপত্র জারি করে মোটা টাকার বিনিময়ে ইচ্ছামতো প্রার্থী নিয়োগ করা হয় বলে দাবি সিবিআইয়ের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.