ছবি: প্রতীকী
অর্ণব আইচ: মিলল না জামিন। পুজোর পর বড়দিনও বন্দিদশাতেই কাটবে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেপ্তার পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুবীরেশ ভট্টাচার্য-সহ মোট ৭ জনের। এদিন আলিপুর আদালতে তোলা হলে অভিযুক্তদের আরও ১৪ দিন জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার আলিপুর আদালতে পেশ করা হয় পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুবীরেশ ভট্টাচার্য, শান্তিপ্রসাদ সিনহা, কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, অশোক সাহা, প্রসন্ন রায়, প্রদীপ সিংকে। সেখানেই ধৃতদের জামিনের আবেদন জানানো হয়। শান্তিপ্রসাদ সিনহার আইনজীবী সঞ্জয় দাশগুপ্ত তুলে আনেন লালন শেখ প্রসঙ্গ। বলেন, “সিবিআই বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব সামনে রাখছে। সিবিআই বলছে এই অভিযুক্তরা জামিন পেলে সমাজের ক্ষতি হবে। তাই জেলে আটকে রাখতে চাইছে। কিন্তু সিবিআই হেফাজতে ‘খুন’ (লালন শেখ প্রসঙ্গ) হয়েছে। তদন্তের ভয়ে হাই কোর্টে গিয়েছে সিবিআই।” কিন্তু কেন? সেই প্রশ্ন তোলেন তিনি। তদন্তের নামে ধৃতদের আটকে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন।
এরপরই বিচারক প্রশ্ন তোলেন, কেন লালন শেখের প্রসঙ্গ তোলা হচ্ছে তা নিয়ে। বলেন, “কোনও একটা ঘটনা নিয়ে গোটা ইনস্টিটিউশনকে দোষ দেওয়া সঠিক নয়।” সিবিআই তরফে বলা হয়েছে, মামলার গুরুত্ব বিচার করে অভিযুক্তদের হেফাজতে রাখা প্রয়োজন। প্রত্যেকেই প্রভাবশালী। তদন্তে কী উঠে আসছে সেটা কেস ডায়েরিতে আছে। রোজ নতুন নতুন তথ্য উঠে আসবে না এটাই স্বাভাবিক। সিবিআইয়ের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। তা নিয়ে উষ্মাপ্রকাশ করে সিবিআই। বলে, “সিবিআই তদন্ত করা ওমপ্রকাশ চৌটালা, পিভি নরসিমা রাও, লালু প্রসাদ যাদবের কেসের ভবিষ্যৎ গোটা দেশ দেখেছে। আমরা প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী দেখি না। অপরাধীদের বিরুদ্ধে তদন্ত করি। সময় মতো কোর্টকে জানাই।” দুই পক্ষের যুক্তি-পালটা যুক্তি শোনার পর ধৃতদের আরও ১৪ দিন জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.