অর্ণব আইচ: দিলীপ ঘোষের বাড়ির দলিল উদ্ধারের ঘটনায় প্রথমবার মুখ খুললেন শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত মিডলম্যান প্রসন্ন রায়। সোমবার আলিপুর আদালত চত্বরে দাঁড়িয়ে তাঁর দাবি, ওই দলিলটি আসল নয়। যেটি পাওয়া গিয়েছে সেটি সার্টিফায়েড কপি। ওই দলিলের জন্য দিলীপ ঘোষের সঙ্গে তাঁর কোনও আর্থিক লেনদেন হয়নি বলেও দাবি প্রসন্নর। প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ‘ঘনিষ্ঠ’ মিডলম্যানের দাবিতে স্বাভাবিকভাবেই স্বস্তিতে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি। তবে এখনও দিলীপ ঘোষকে জেরার দাবিতে সরব তৃণমূল।
জেল হেফাজত শেষে সোমবার প্রসন্ন রায়কে আলিপুর আদালতে তোলা হয়। সেই সময় দিলীপ ঘোষের জমির দলিল প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হয় তাঁকে। সে প্রসঙ্গে প্রসন্ন জানান, তাঁর বাড়ি উদ্ধার হওয়ায় দলিলটি আসল নয়। সার্টিফায়েড কপি। জমির মিউটেশন সংক্রান্ত কাজের জন্য দলিল নিয়েছিলেন। দিলীপ ঘোষের সঙ্গে কোনও আর্থিক লেনদেন হয়নি তাঁর।
গত বছরের নভেম্বর মাসে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার হন পার্থ চট্টোপাধ্যায় ‘ঘনিষ্ঠ’ মিডলম্যান প্রসন্ন রায়। তারপরই সিবিআই আদালতে সিজার লিস্ট জমা দেয়। ওই সিজার লিস্টের ৮ নম্বর পয়েন্টে দিলীপ ঘোষের জমির দলিলের উল্লেখ ছিল। প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ‘ঘনিষ্ঠ’ ধৃত মিডলম্যান প্রসন্ন রায়ের ফ্ল্যাট থেকে ওই দলিলটি বাজেয়াপ্ত করে সিবিআই। ওই ডিড অনুযায়ী, দিলীপ ঘোষ ২০২২ সালের ২২ এপ্রিল জনৈক শৌভিক মজুমদারের কাছ থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনা এলাকায় জমিটি কেনেন।
ওই জমির দলিল সামনে আসার পর থেকে রাজনৈতিক মহলে জোর শোরগোল। ডিডে নাম থাকা দিলীপই কি বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। ওই ডিড যে তাঁরই, তা সেই সময় স্বীকার করে নেন খোদ দিলীপ ঘোষ। দাবি করেন, প্রসন্ন রায় ও তিনি একই আবাসনে থাকতেন। সেই সূত্রে প্রসন্নকে চিনতেন। বিদ্যুতের সংযোগ সংক্রান্ত কাজকর্মের জন্য দলিলটি প্রসন্নকে দিয়েছিলেন। তবে প্রসন্ন কোনও দুর্নীতিতে জড়িত জানলে দলিল দিতেন না বলেও দাবি করেন দিলীপ ঘোষের। এদিন প্রসন্ন রায়ও একই কথা বলেন। ধৃত মিডলম্যান মুখ খোলায় স্বাভাবিকভাবেই স্বস্তিতে দিলীপ ঘোষ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.