দীপঙ্কর মণ্ডল ও কলহার মুখোপাধ্যায়: লকডাউনের মাঝে আর্থিকভাবে সংকটের মুখে প্রায় সকলেই। এই পরিস্থিতিতেও বাড়ছে বেসরকারি স্কুলের ফি। তার প্রতিবাদে সরব শহরের একাধিক স্কুলের পড়ুয়াদের অভিভাবকরা। স্কুলের সামনে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। প্রিন্সিপালকে ঘেরাও করেন তাঁরা। বিভিন্ন এলাকায় পথ অবরোধও করেন অভিভাবকরা।
শুক্রবার সকালে লেক গার্ডেন্সের এ কে ঘোষ মেমোরিয়াল স্কুলের প্রিন্সিপালের সঙ্গে অভিভাবকরা বৈঠকে বসেন। অভিভাবকদের অভিযোগ, ওই বৈঠকে কোনও গুরুত্বপূর্ণ কথাই আলোচনা হয়নি। পরিবর্তে শুধুই ফি বাড়ানোর দাবি জানাচ্ছিল স্কুল কর্তৃপক্ষ। অভিভাবকদের আরও দাবি, লকডাউনে আয় তলানিতে ঠেকেছে। তাই এই সময় কোনওভাবেই অতিরিক্ত টাকা দেওয়া সম্ভব হয়। তাছাড়া লকডাউনের কারণে কোনও পড়ুয়াই স্কুলে যাচ্ছে না। শুধুমাত্র বাড়িতে অনলাইন ক্লাস করছে তারা। তাই টিউশন ফি ছাড়া অন্য কোনও খাতে আর ফি দিতে রাজি নন অভিভাবকরা। এরকম একাধিক দাবিতে প্রিন্সিপালকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। স্কুল লাগোয়া এলাকায় পথও অবরোধ করেন অভিভাবকরা।
একইরকম ঘটনার সাক্ষী দমদমের সেন্ট মেরি অরফ্যানেজ অ্যান্ড ডে স্কুলের অভিভাবকরাও। তাঁদের অভিযোগ, আচমকা লকডাউনের মতো কঠিন সময়ে প্রায় ১০ শতাংশ অতিরিক্ত ফি দাবি করছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। যা তাঁদের পক্ষে এই মুহূর্তে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে দমদম স্টেশন রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন অভিভাবকরা। প্রিন্সিপালকেও দীর্ঘক্ষণ ঘেরাও করে রাখেন তাঁরা।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমদম থানার পুলিশ। অবরোধ হঠাতে গেলে পুলিশের সঙ্গে একপ্রস্থ বচসাও হয় তাঁদের। এরপর পুলিশের সঙ্গে স্কুলের ভিতরে ঢোকেন বেশ কয়েকজন অভিভাবক। তবে পুলিশের সামনেই প্রিন্সিপালকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন অভিভাবকরা। পরে অবশ্য আলোচনায় বসার আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। আগামী ২৫ জুন বর্ধিত ফি নিয়ে আলোচনায় বসবে বলেই জানিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।
দেখুন ভিডিও:
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.