Advertisement
Advertisement

Breaking News

ডাক্তারি কলেজে ভরতির নামে শহরে প্রতারণার জাল

অভিযুক্ত ‘ব্যাংককর্তা’র খোঁজে তদন্ত শুরু পুলিশের৷

Parentes of a Medical student chteated in the name of admission

ছবি: প্রতীকী

Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:May 31, 2018 8:45 pm
  • Updated:May 31, 2018 8:45 pm  

অর্ণব আইচ, কলকাতা: ফের বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে ভরতির নামে প্রতারণার জাল। দক্ষিণ কলকাতার গড়ফার বাসিন্দা এক ব্যক্তির  থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠল। মূল অভিযোগের আঙুল এক ব্যক্তির উপর, যিনি নিজেকে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের পদস্থ কর্তা বলে দাবি করেছেন।

[ফেসবুকে বিতর্কিত পোস্ট নিয়ে মামলা, আগাম জামিন মঞ্জুর সেলিম পুত্রের]

Advertisement

অভিযোগ উঠেছে, বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে ভরতি করিয়ে দেওয়ার নামে একটি চক্র গতবছর ধরে অনেক ছাত্র-ছাত্রীর অভিভাবকদের ফাঁদে ফেলছে। তাঁদের কাছ থেকে ওই চক্রটি কয়েক লক্ষ টাকা হস্তগত করেছে। সম্প্রতি গড়ফা থানায় এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অভিযুক্ত ব্যক্তি নিজেকে ব্যাংককর্তা বলে পরিচয় দিলেও পুলিশ তা যাচাই করছে। ডাক্তারিতে ভরতি করানোকে কেন্দ্র করে যে চক্রটি প্রতারণার ফাঁদ তৈরি করেছে, অভিযুক্ত ‘ব্যাংককর্তা’ ওই চক্রের সঙ্গে যুক্ত কি না, পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে। এর আগেও ডাক্তারি কোর্সে ভরতির নামে বেশ কয়েকটি প্রতারণা চক্র ধরা পড়েছে পুলিশের হাতে। তাই এই অভিযোগটিও পুলিশ গুরুত্ব দিয়ে দেখছে।

[‘বৃদ্ধ’ যানের চলাচল রুখতে শহরের ৫০টি প্রবেশদ্বারে বসছে বিশেষ নজরদারি]

পুলিশ জানিয়েছে, গত বছর গড়ফার হালতুর বাসিন্দা এক ছাত্র ‘নিট’ পরীক্ষায় বসেন। রেজাল্ট বের হওয়ার পরই তাঁর অভিভাবকদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এক ব্যক্তি। নিজেকে তিনি ব্যাংককর্তা বলে পরিচয় দেন। বলেন, তিনি ভিনরাজ্যের বেশ কয়েকটি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের এজেন্ট। ছাত্রের রেজাল্ট দেখে ওই ব্যক্তি অভিভাবকদের বলেন, তিনি কর্নাটকের একটি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে তাঁদের ছেলেকে এমবিবিএস কোর্সে ভর্তি করিয়ে দিতে পারেন। তার জন্য ৪৫ লাখ টাকা লাগবে। কীভাবে ভর্তি করানো হবে, সেই উত্তরে ওই ব্যক্তি বলেন, বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে যে ‘কোটা’গুলি রয়েছে, সেগুলি কলেজগুলি প্রচুর টাকায় বিক্রি করে। সেই সুযোগই কাজে লাগান এজেন্টরা।

[৩৮ বছরের সহবাস ভোলার নয়, বাতিল ‘দিল’-এ মন কেমন করে দিলচাঁদের]

অভিভাবকরা ওই ব্যক্তিকে বিশ্বাস করেই গত বছরের আগস্টে প্রাথমিকভাবে পাঁচ লাখ টাকার একটি চেক দেন। জামশেদপুরের একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের একটি অ্যাকাউন্টে সেই টাকা জমা পড়ে। অভিযোগ, ওই চেক নেওয়ার পরই টালবাহানা শুরু করেন অভিযুক্ত। বেশ কয়েক মাস কেটে যাওয়ার পরও ভরতি হননি ওই ছাত্র। শেষ পর্যন্ত দু’লাখ টাকা ফেরত দিলেও বাকি তিন লাখ টাকা ফেরত দেননি। অভিযুক্ত ব্যক্তির সন্ধান চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement