দীপঙ্কর মণ্ডল: আপাতত আন্দোলন প্রত্যাহার করছেন পার্শ্বশিক্ষকরা। মাসখানেক ধরে সল্টলেকে বিকাশ ভবনের সামনে নির্দিষ্ট বেতন কাঠামোর দাবিতে ধরনা আন্দোলনে নেমেছেন তাঁরা। অনশনও শুরু করায় ইতিমধ্যেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন কয়েকজন আন্দোলনকারী। আলোচনায় বসতে চেয়ে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন তাঁরা। চিঠি পেয়ে তাঁর প্রতিক্রিয়া, “পার্শ্বশিক্ষকদের সব সংগঠনের সঙ্গে আলোচনায় বসব। তবে যাঁরা এতদিন স্কুলে যাননি তাঁদের কৈফিয়ত দিতে হবে।”
শনিবার মধ্যশিক্ষা পর্ষদে বিনামূল্যে মাধ্যমিকের টেস্ট পেপার বিতরণের সূচনা করেন। অনুষ্ঠান শেষে পার্শ্বশিক্ষকদের নিয়ে বক্তব্য পেশ করতে গিয়ে তিনি জানান যে আন্দোলনরত পার্শ্বশিক্ষকরা কেন স্কুলে যাচ্ছেন না, তার জবাব পেতে তাঁদের শোকজ করেছে স্কুলশিক্ষা দপ্তর। যদিও তা নিয়ে আদৌ চিন্তিত নন আন্দোলনকারীরা। শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় তাঁদের দাবি না মিটলে ফের নতুন করে আন্দোলন শুরু হবে বলে তাঁরা পালটা জানিয়ে দিয়েছেন। শিক্ষামন্ত্রী শনিবার অনুষ্ঠানে বলেন, ”যাঁরা আন্দোলন করছেন তাঁদের বিবেকের কাছে আবেদন করছি, কাজটা কি ঠিক হচ্ছে? অভিভাবকরা আমাদের বলছেন, আপনারা কড়া ব্যবস্থা নিচ্ছেন না কেন।আন্দোলনকারী পার্শ্বশিক্ষকদের বলব, আমাদের একটু সুযোগ দিন। রাজ্যের আর্থিক পরিস্থিতি ভাল হলে নিশ্চয়ই আবার ভাতা বা বেতন বাড়বে। তবে আলোচনার সময় একথা জিজ্ঞেস করব, কোনও প্রোজেক্টে কি বেতন কাঠামো থাকে? কেন্দ্রীয় সরকারকে এটা জিজ্ঞেস করুন।”
চলতি বছর মাধ্যমিকে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে লাগাতার প্রশ্ন ফাঁস হওয়ায় আগামী বছরের পরীক্ষা নিয়ে চিন্তায় মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। দুশ্চিন্তা থেকে বেরোতে পারছে না রাজ্য সরকারও। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় মধ্যশিক্ষা পর্ষদের বিনামূল্যে টেস্ট পেপার বিতরণ অনুষ্ঠানে এই উদ্বেগ প্রকাশ করেন। এ প্রসঙ্গেই তিনি বলেন, “যারা অসৎ উপায় অবলম্বন করে, তারা সেই দিন হয়তো জয়ী হয়। কিন্তু জীবনযুদ্ধে তারা পরাজিত হয়। আমি সবাইকে বলব, মাথা ঠান্ডা করে পরীক্ষা দাও। ভাল মানুষ হও।” প্রশ্ন ফাঁস রুখতে এবার কাউকেই পরীক্ষাকেন্দ্রে মোবাইল নিয়ে ঢুকতে দেওয়া হবে না বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। কিন্তু তারপরও যে ‘অঘটন’ হবে না এমন গ্যারান্টি কেউ দিতে পারছেন না।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.