ছবি: প্রতীকী
দীপঙ্কর মণ্ডল: শিক্ষক বিদ্রোহের আঁচ পেয়ে তড়িঘড়ি নিজের অবস্থান থেকে ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে দাঁড়াল কমিশন৷ বিজ্ঞপ্তি জারির পাঁচ দিন পর অবশেষে পার্শ্বশিক্ষক-সহ রাজ্যের ছয় ধরনের কর্মীদের ভোটে লড়ার অধিকার ফিরিয়ে দিল কমিশন৷
পার্শ্বশিক্ষক ও শিক্ষাবন্ধু-সহ রাজ্যের ছয় ধরনের কর্মীরা এবার পঞ্চায়েত ভোটে মনোনয়ন পেশ করতে পারবে না বলে জানিয়েছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন৷ ওই পদগুলি স্থায়ী নয় জানিয়ে ভোটে দাঁড়ানোর অধিকার খর্ব করেছিল কমিশন৷ কিন্তু মঙ্গলবার কমিশনের একটি নির্দেশিকা পুরনো সেই নিষেধাজ্ঞাকে খারিজ করেছে৷ অর্থাৎ, ১ থেকে ৯ এপ্রিল পর্যন্ত কোনও পার্শ্বশিক্ষক বা সর্বশিক্ষা মিশনের অধীন কর্মীরা মনোনয়ন জমা দিলে তা বৈধ বলে গণ্য হবে৷
কমিশনের দু’দফা নির্দেশের মাঝে ৬ এপ্রিল রাজ্য সরকার একটি নির্দেশিকা জারি করে। রাজ্যের নির্দেশ ছিল গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও সহ-সভাপতি, জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ, সভাধিপতি ও সহ সভাপতিদের পদ পূর্ণ সময়ের৷ ওইপদে পার্শ্বশিক্ষক বা সর্বশিক্ষা মিশনের কোনও কর্মী নির্বাচিত হলে তাঁদের লিয়েন বা ছুটি দেওয়া হবে। রাজ্যের এই নির্দেশটি মঙ্গলবার জেলাশাসকদের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছে কমিশন৷
পার্শ্বশিক্ষকদের দাবার ঘুঁটি হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষক নেতা স্বপন মণ্ডল। তিনি এ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, “পাশ্বর্শিক্ষক এবং সর্বশিক্ষা মিশনের কর্মীদের টোপ দেওয়া হল। বহুদিন ধরে বেতন ও অন্যান্য সুযোগের দাবিতে তাঁরা আন্দোলন করছেন। মূল দাবি থেকে সরিয়ে দিতেই এই ব্যবস্থা করল সরকার৷’’ পার্শ্বশিক্ষকদের দাবি আদায়ে অনেকদিন ধরে আন্দোলন করছেন স্বপনবাবু৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.