ছবি: প্রতীকী।
সুদীপ রায়চৌধুরী: ছিল ১০০। হল ৪ হাজার ৮৩৪। একধাক্কায় রাজ্যের স্পর্শকাতর বুথের সংখ্যা বাড়ল ৪৮ গুণ। যা পঞ্চায়েত নির্বাচনের রাজ্য়ের মোট বুথের ৭.৮৪ শতাংশ। সোমবার এমনই তথ্য দিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। নিরাপত্তায় জোর দিয়ে স্পর্শকাতর বুথে অতিরিক্ত সশস্ত্র পুলিশ মোতায়েনের কথাও জানিয়েছে কমিশন। তবে আদালতের নির্দেশ মেনে বুথের ভিতর থাকবে না সিভিক ভলান্টিয়ার। তারা মূলত ভোটের লাইন নিয়ন্ত্রণ, নাকা চেকিংয়ের মতো কাজ সামলাবে। কিন্তু বুথের ভিতর কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন হবে কি না তা এখনও স্পষ্ট করেনি কমিশন।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন ও প্রচার পর্বেই ১৫ জনের মৃ্ত্যু হয়েছে। দফায়-দফায় অশান্তি চলছে কয়েকটি জেলাতে। তাই ভোটের দিন নিরাপত্তায় কোনও খামতি রাখত রাজি নয় রাজ্য় নির্বাচন কমিশন। তাই ৮২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর পাশাপাশি মোতায়েন হচ্ছে ৭০ হাজার সশস্ত্র পুলিশ। এর মধ্যে থাকবে ১২ হাজার কলকাতা পুলিশের সশস্ত্র বাহিনী আর বাকিটা রাজ্য পুলিশের সশস্ত্র বাহিনী। কমিশন প্রত্যেক বুথে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েনের আশ্বাস দিলেও তা কেন্দ্রীয় বাহিনীই হবে কি না তা এখনও স্পষ্ট করেনি। তাদের মতে, হিংসার ঘটনা ঘটে গ্রামে-গ্রামে। তাই সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার কথা ভাবছে কমিশন। তবে এনিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। রাখা হবে মোবাইল ফোর্স। এদিকে বুথে বুথে মোতায়েনের জন্য ৬৬ হাজার পুলিশ রাখা হয়েছে। তাদের অধিকাংশই পোস্টিং এলাকায় পৌঁছে গিয়েছে বলে কমিশন সূত্রে খবর।
জানা গিয়েছে, সবচেয়ে বেশি সংখ্যক স্পর্শকাতর বুথ রয়েছে মুর্শিদাবাদে। সংখ্যাটা ৫৪১। শতাংশের নিরিখে ১০। উত্তপ্ত কোচবিহারে এই সংখ্যাটা ৩১৭। শতাংশের নিরিখে প্রায় ১৩। আর দক্ষিণ ২৪ পরগনায় স্পর্শকাতর বুথ রয়েছে ৩৫৩টি। জেলার মোট বুথের নিরিখে প্রায় ১১.৬৩ শতাংশ। পুরুলিয়ার ১০.৫ শতাংশ বুথকে স্পর্শকাতর হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। আদালত জানিয়েছিল, ভোটের দিন ১০০ শতাংশ বুথেই সিসিটিভি রাখতে হবে। কমিশন জানিয়েছে, ৯৫ শতাংষ বুথে সিসিটিভি থাকবে। বাকি ৫ শতাংশ বুথে করা হবে ভিডিওগ্রাফি। আদালতের নির্দেশ মতো বুথে বুথে সিভিক পুলিশকে ব্যবহার করা হবে না। নাকা চেকিং, লাইন নিয়ন্ত্রণ ও নির্বাচন ব্যবস্থপনার কাজে তাদের ব্যবহার করা হবে।
ইতিমধ্যে জেলায় জেলায় পর্যবেক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে। ২২ জেলার জন্য রয়েছেন ২১ জন। এছাড়াও ২৩৮ জন বিশেষ পর্যবেক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে। বাহিনী মোতায়েন-সহ একাধিক কাজের ক্ষেত্রে নিয়োগ হয়েছে নোডাল অফিসারও। সবমিলিয়ে পঞ্চায়েত ভোটের দিন নিরাপত্তা নিশ্ছিদ্র করতে চাইছে কমিশন। অন্তত এদিন সেই ইঙ্গিতই দিয়েছে তারা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.