গোবিন্দ রায়: রাজ্যের পঞ্চায়েত (Panchayat Election 2023) মামলায় উঠল মণিপুর অশান্তির প্রসঙ্গ। সম্প্রতি, পঞ্চায়েত নির্বাচনে পর্যবেক্ষক নিয়োগ নিয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সিদ্ধান্ত খারিজ করে দিয়েছিলেন বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের সিঙ্গেল বেঞ্চ। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানি ছিল হাই কোর্টে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে। এবং সেই মামলাতেই আদালতে মণিপুরের প্রসঙ্গ টানলেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনের আইনজীবী জয়ন্ত মিত্র।
প্রশ্ন তুলে জয়ন্ত মিত্রর দাবি, “মণিপুরে যে অশান্তি হচ্ছে সেখানে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের ভূমিকা কী? অশান্তি থামাতে কী পদক্ষেপ নিয়েছে মানবাধিকার কমিশন?” তিনি আরও বলেন, “শুধুমাত্র এ রাজ্যের ঘটনা নয়। অনেক রাজ্যের ঘটনা সামনে এসেছে। চেন্নাই, বেঙ্গালুরু সব জায়গায় অশান্তি হয়েছে। সেটা নিয়ন্ত্রণে আনতে মানবাধিকার কমিশন কী ব্যবস্থা করেছে? এমনকি, এখানে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে দিল্লিতে বসে মানবাধিকার কমিশন বাড়তি কী করবে!” এদিন কেন্দ্রীয় মানবাধিকার কমিশনের আইনজীবী আমন লেখী জানান, “পর্যবেক্ষক রিটার্নিং অফিসারকে বলতে পারে বুথ ক্যাপচারিং ঘটনা। কিন্তু বাইরে কোনও হিংসার বা অশান্তির ঘটনা ঘটলে না নির্বাচনে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষিত হলে তার দায় কী কমিশন এড়াতে পারে? এক্ষেত্রে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। তাই আইন অনুযায়ী মানবাধিকার কমিশন স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে পদক্ষেপ করতে পারে। বা সুপারিশ করতে পারে।”
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের আইনজীবী আরও বলেন, “কোনও সরকারি আধিকারিক যদি তাঁর দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয় বা অবহেলা করে তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার সুপারিশ করতে পারে মানবাধিকার কমিশন। সেই ক্ষমতা তাদের আছে।” তবে আদালতে রাজ্যের দাবি, “মানবাধিকার কমিশনের ভূমিকা তখন, যখন মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ ওঠে। এখানে সেই ধরনের অভিযোগ নেই। তাঁরা নির্বাচন কমিশনকে বলতে পারে না এটা কর, ওটা কর।” রাজ্যের আরও দাবি, “রাজ্য নির্বাচন কমিশন নির্বাচনে আইএএস,ডব্লিউবিসিএস অফিসারদের পর্যবেক্ষক হিসাবে নিয়োগ করেছে। প্রাক্তন বিচারপতিকে পর্যবেক্ষক হিসাবে নিয়োগ করার আবেদন জানিয়েছিল বিরোধী রাজনৈতিক দল।কিন্তু তা বাতিল করে স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট।” দু’পক্ষের বক্তব্য শুনে রায়দান স্থগিত করেছে আদালত।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.