রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election 2023) সংখ্যালঘু এলাকায় বড়সড় সাফল্য দাবি করল বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের দাবি, এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে ২০১৮ সালের তুলনায় দ্বিগুণ প্রার্থী হয়েছে তাদের। মুর্শিদাবাদ, বীরভূম-সহ যে যে এলাকায় আগেরবার সেভাবে প্রার্থীই দাঁড় করানো যায়নি সেই এলাকাগুলিতেও এবার প্রার্থী দাঁড় করাতে পেরেছে গেরুয়া শিবির।
বিজেপি সূত্রের দাবি, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের তুলনায় প্রায় ৬০% বেশি সংখ্যালঘু প্রার্থী দেওয়া গিয়েছে এবার। ২০১৮ সালের নির্বাচনে যেখানে তারা ২৬০ জন মতো সংখ্যালঘু প্রার্থী দিয়েছিল। এ বার সেখানে পঞ্চায়েতের তিন স্তর মিলিয়ে সংখ্যালঘু প্রার্থীর সংখ্যা ৬৫০। যার মধ্যে সবচেয়ে বেশি অন্তত শ’দেড়েক প্রার্থী মুর্শিদাবাদ দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলায় রয়েছে। এছাড়া উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় সংখ্যালঘু প্রার্থী বেড়েছে মথুরাপুর এবং বীরভূম সাংগঠনিক জেলায়।
রাজ্য বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার সভাপতি চার্লস নন্দী জানিয়েছেন, মুর্শিদাবাদ উত্তর ও দক্ষিণ, দক্ষিণ ২৪ পরগনা পূর্ব, দক্ষিণ দিনাজপুর, কাঁথি, বীরভূমে সংখ্যালঘু বহু প্রার্থী দিয়েছে বিজেপি। মনে করা হচ্ছে, আগামী দিনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) ‘সবকা সাথ’ নীতিকে সামনে রেখে প্রচার করবে গেরুয়া শিবির। যদিও বিজেপির এই সংখ্যালঘু প্রার্থীর সংখ্যাটা মোট প্রার্থীর মাত্র ১ শতাংশ। তাছাড়া সামগ্রিকভাবে বিজেপি গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের তুলনায় প্রায় ২০% বেশি আসনে প্রার্থী দিতে পেরেছে। তাই এই বৃদ্ধি স্বাভাবিক। এর কোনও রাজনৈতিক তাৎপর্য নেই বলেই মনে করছে তৃণমূল এবং সিপিএম।
এসবের মাঝে প্রচারেও জোর দিচ্ছে গেরুয়া শিবির। রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) পাশাপাশি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকারও বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার করছেন। শুক্রবারও বাঁকুড়া জেলার রানীবাঁধে প্রচার করতে দেখা গিয়েছে কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ডঃ সুভাষ সরকারকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.