সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটে মনোনয়ন পর্ব শেষে কমরেডকুল বেশ খুশিই। মনোনয়নের সংখ্যা দেখেই বামপন্থীদের বলছেন, মানুষ প্রতিরোধ শুরু করেছে। লাল ঝান্ডা গ্রামে গ্রামে বাড়ছে। সিপিএম (CPIM) যে ‘বড্ড বেড়েছে’ সেটা মেনে নিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী বন্দ্যোপাধ্যায়ও (Mamata Banerjee)। তবে সেটাও তীব্র কটাক্ষের সুরে।
মঙ্গলবার এক বেসরকারি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মমতা বলছেন,”সিপিএমটা বড্ড বেড়েছে। বেড়েছে মানে সংগঠন বাড়েনি। কুৎসা আর বাজে বাজে মুখের ভাষায় বড্ড বাড়বাড়ন্ত হয়েছে। আমরা তো বদল চেয়েছিলাম। কিন্তু ওদের কী মুখের ভাষা।” এরপরই মুখ্যমন্ত্রী স্মরণ করান বাম আমলের ‘দুষ্কৃতীরাজে’র কথা। মমতা মনে করান,”আমরা যখন কংগ্রেস করতাম, কংগ্রেস (Congress) কর্মীদের হাত কেটে নেওয়া হত, যাতে হাত চিহ্নে ভোট দিতে না পারে। আমরা সিঙ্গুর, নন্দীগ্রাম কিছুই ভুলিনি।” মমতার আহ্বান, “বামপন্থীদের কিছু মানুষ এতদিন ঘুমিয়ে ছিলেন, এখন হঠাত জেগে উঠেছেন। একবার ভেবে দেখুন কাদের সমর্থন করছেন।”
বাম, কংগ্রেস এবং আইএসএফকে এক সারিতে বসিয়ে মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, “বাংলায় সিপিএম পার্টি ঢুকেছে কয়েকটা, কংগ্রেস পার্টি ঢুকেছে, কী মুখের ভাষা।” আইএসএফ সম্পর্কে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য,”আইএসএফ (ISF) বিজেপির পকেটের পার্টি। বিজেপির টাকা নিয়ে করছে। আমি আইএসএফকে এক ফোটাও গুরুত্ব দিচ্ছি না। বিজেপির টাকায় চলছে, বিজেপি যেদিন টাকা দেওয়া বন্ধ করে দেবে, সেদিন বন্ধ হয়ে যাবে। ওদের তো নিজেদের প্রতীকও নেই। জঙ্গলমহলেও ওরা কুড়মিদেরও এভাবেই উসকানি দিচ্ছে। যে কুড়মিদের বিক্ষোভ করাচ্ছে সে তো কোটিপতি। ওকে বিজেপিকে কোটি কোটি টাকা দিয়েছে।”
রাজ্যে গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে যে সামান্য দুর্নীতি হয়েছে, সেটা মেনে নিয়েও মমতা সিপিএমকে কাঠগড়ায় তুলেছেন। মুখ্যমন্ত্রীকে এদিন বলতে শোনা গিয়েছে, “আমাদের ১ শতাংশ লোক, যারা হয়তো সিপিএম (CPIM) থেকে এসেছে তারা ভুলভাল করেছে। পঞ্চায়েত স্তরে মানুষকে নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। আর এখন তো সরাসরি কেন্দ্র পঞ্চায়েতকে টাকা দেয়। তাও আমরা দলের তরফে চেষ্টা করছি। যারা দুর্নীতিতে যুক্ত তাঁদের কাউকে টিকিট দেওয়া হয়নি।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.