সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের দিন রক্তস্নাত হয়েছে বাংলা। ভোটের (Panchayat Election 2023) দিন সন্ত্রাস, কমিশনের নিষ্ক্রিয়তা ও পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সামনে রবিবারও বিক্ষোভে বসলেন বিজেপি কর্মীরা। আর সেই বিক্ষোভ থেকে মুখ্যমন্ত্রী, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, কমিশনারকে কুৎসিত ভাষায় আক্রমণ করলেন তাঁরা। পালটা বিজেপিকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, “এই কুরুচিকর আক্রমণের খেসারত দিতে হবে বিজেপি নেতাদের।”
পঞ্চায়েত ভোটের দিন বাংলায় প্রাণ গিয়েছে ১৯ জনের। জখম হয়েছেন বহু মানুষ। বোমাবাজি, গুলিবৃষ্টি, ভোট লুট, ব্যালট বাক্স নষ্টের মতো ঘটনা ঘটেছে ভূরি ভূরি। প্রতিবাদে শনিবারই কমিশনের গেটে তালা ঝুলিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। গেটে লাথিও মারেন। এরপর এদিন সজল ঘোষ, সোনালী গুহদের উপস্থিতিতে নির্বাচন কমিশনের অফিসের সামনে হাতে জুতো নিয়ে বিক্ষোভে বসেন। সেখান থেকেই মুখ্যমন্ত্রী, নির্বাচন কমিশনারকে কুরুচিকর ভাষায় আক্রমণ করেন। তাঁদের জুতো মারার নিদানও দেন। নির্বাচন কমিশনারকে চিঠি দিয়ে প্রায় সাড়ে ১০ হাজার বুথে পুনর্নির্বাচন দাবি করেছে গেরুয়া শিবির। পাশাপাশি অশান্তির অভিযোগ তুলে গণনার দিনও ১০-১২ দিন পিছিয়ে দেওয়ার দাবি তুলেছে তারা।
বিজেপি নেত্রী সোনালি গুহর দাবি, ভোটের নামে প্রহসন হয়েছে। প্রচুর মানুষ মারা গিয়েছে। আবার সজল ঘোষের দাবি, সবচেয়ে বেশি তো তৃণমূল কর্মী খুন হয়েছেন। আজ তো ওদের এখানে বসা উচিত ছিল। তাঁদের দাবি, রাজ্য় সরকারকে সরিয়ে তারপর পুনর্নিবাচন করা হোক। না হলে আবার একই ঘটনা ঘটবে। পালটা দিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, “বিজেপির (BJP) কিছু কিছু নেতা কুরুচিকর ভাষা ব্যবহার করছেন। এর খেসারত দিতে হবে ওদের। ২০১১ সালে রবীন্দ্র সংগীত চলেছিল মানে এটা নয় যে ইউটিউবে রিমিক্স পাওয়া যায় না।” সবমিলিয়ে ভোটে হিংসা নিয়ে রবিবারও উত্তপ্ত রইল রাজ্য রাজনীতি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.