গোবিন্দ রায়: মাঝরাতে বাড়িতে পুলিশের হানা, তল্লাশি, গ্রেপ্তারের ঘটনায় কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচী মামলা দায়ের করেন কলকাতা হাই কোর্টে (Calcutta HC)। পুলিশের অতিসক্রিয়তা নিয়ে অভিযোগ তুলে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি। বুধবার সেই মামলার শুনানিতেই বিচারপতি নির্দেশ দেন, এই সময়ের মধ্যে হাই কোর্টের অনুমতি ছাড়া কোনও থানা এই নিয়ে কৌস্তভের বিরুদ্ধে কোনও কঠোর পদক্ষেপ করতে পারবে না। আগামী চার সপ্তাহ এই নির্দেশ বলবৎ থাকবে। পাশাপাশি বটতলা থানার অতিসক্রিয়তা নিয়ে ওসি কলকাতাকে তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।
এদিন বিচারপতি বলেন, এ বিষয়ে বটতলা পুলিশের প্রাথমিক অনুসন্ধান করা উচিত ছিল। এমন কিছু তথ্য প্রমাণ নেই, যার থেকে গ্রেপ্তারির গুরুত্ব বোঝা যায়। কোনও নোটিস না পাঠিয়েই এভাবে গ্রেপ্তার করায় নাগরিকের অধিকার ক্ষুণ্ণ করা হয়েছে। কোর্ট (Calcutta High Court) জানতে আগ্রহী কীসের ভিত্তিতে মাঝরাতে পুলিশ তাঁর বাড়ি গিয়েছিল। আর সারারাত থেকে পরের দিনই বা কেন গ্রেপ্তার করা হল। গোটা বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের বিরোধী। থানার এই ভূমিকা নিয়ে অনুসন্ধান দরকার বলেও জানান বিচারপতি।
এরপরই যোগ করেন, কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে খতিয়ে দেখতে হবে কীসের ভিত্তিতে থানা এই গ্রেপ্তারির ঘটনা ঘটাল। কেস ডাইরিও খতিয়ে দেখতে হবে। তারপরে তাঁকে রিপোর্ট দিতে হবে আদালতে। পুলিশের এই অতিসক্রিয়তা আপাতত স্থগিত। সিপিকে তিন সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি মান্থা।
পাশাপাশি বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ানোয় হুমকির মুখেও পড়তে পারেন কৌস্তভ বাগচী। প্রাথমিক ভাবে সেই আশঙ্কাও করছে হাই কোর্ট। যার প্রেক্ষিতে বিচারপতির নির্দেশ, কেন্দ্রীয় বাহিনী নিরাপত্তা দিতে পারবে কি না, মামলার আগামী দিনে তা জানাতে হবে সিআরপিএফকে। আপাতত এই সময়ের জন্য বারাকপুর পুলিশকে অন্তত পাঁচজন পুলিশের নিরাপত্তা দিতে হবে কৌস্তভের বাড়িতে। তার সঙ্গে আর্মড কনস্টেবল দিতে হবে নিরাপত্তায়। সিপি বারাকপুরকে নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করার নির্দেশও দেন বিচারপতি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.